শ্রেয়া ঘোষাল নামটি এখন কোনও পরিচয়ের অনুগ্রহ করে না। ভারতীয় টেলিভিশনে সঙ্গীত রিয়েলিটি শো জিতে এক সফরের সূচনা হয়েছিল শ্রেয়ার। ধীরে ধীরে পরিণত শ্রেয়ার কণ্ঠ কোটি কোটি শ্রোতার মন জয় করেছে। জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছেন শ্রেয়া। শীঘ্রই মা হচ্ছেন। আজ তাঁর জন্মদিনে জানুন শ্রেয়ার জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা হয়তো আপনি আগে জানতেন না।
বলিউডের সর্বকালের অন্যতম সুরেলা সঙ্গীত শিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল ২০১৫ সালে দীর্ঘ দিবের বন্ধু শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন। ২০০২ সালে সঞ্জয় লীলা বনশালী-র দেবদাস সিনেমায় ঐশ্বর্য-র কণ্ঠ হিসাবেই তাকে সকলে চিনতে শুরু করে। এই সিনেমায় তিনি প্রথম গান করেন। টিভিতে শ্রেয়ার পারফরম্যান্স দেখে সঞ্জয়ের মা তাঁকে শ্রেয়ার সম্পর্কে বলেন। এই সিনেমায় গান করার সুবাদে ফিলমফেয়ার এবং জাতীয় পুরস্কার পান শ্রেয়া।
শ্রেয়ার সুরের সফর শুরু হয় ৪ বছর বয়সে। মায়ের কাছে হাতেখড়ি। ক্লাবের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ৪ বছরের শ্রেয়ার গান শুনে মুগ্ধ হন সকলে। তখন থেকেই তাঁর অভিভাবকরা বুঝতে পারেন শ্রেয়ার বিশেষ গুণ রয়েছে। তাই ৬ বছর বয়স থেকে তাঁকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তামিল দেওয়া শুরু করেন। পদ্মশ্রী সঙ্গীত পরিচালক কল্যাণ জি এবং মুক্তা ভিড়ে-র কাছে দীর্ঘ দিন গান শিখেছেন শ্রেয়া।
বিজ্ঞানে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন শ্রেয়া। অ্যাটমিক এনার্জি সেন্ট্রাল স্কুল থেকে স্কুল শেষ করে বিজ্ঞান নিয়েই মুম্বইয়ে অ্যাটমিক এনার্জি জুনিয়র কলেজে ভরতি হন। তবে ভাগ্যে অন্য কিছুই লেখা ছিল শ্রেয়ার। সঙ্গীতের প্রতি প্রবল আকর্ষণ তাঁকে বিজ্ঞান ছাড়িয়ে শিল্পকলা মুখী করে তোলে। সেই সময় তিনি ঠিক করে নেন প্লে ব্যাক গায়কিকেই পেশা হিসাবে বেছে নেবেন। অ্যাটমিক এনার্জি জুনিয়র কলেজ ছেড়ে তিনি আর্টস নিয়ে SIES কলেজে ভরতি হন এবং সেখান থেকেই স্নাতক হন।
শুধুমাত্র ভারতেই নন, গোটা বিশ্বেই তাঁর অগণিত ভক্ত রয়েছেন। আর পুরস্কারের দিক থেকে একাধিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি রয়েছে শ্রেয়ার। সে দিক থেকে দেখলে ২৬ শ্রেয়ার লাকি সংখ্যা। ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল লন্ডনে তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করে সে দেশের পার্লামেন্টের হাউজ অফ কমন্স। এটা যে কোনও ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পীর পাওয়া বিদেশে সবচেয়ে বড় সম্মান। একই বছর আমেরিকার ওহাইহো স্টেটের গভর্নর টেড স্ট্রিকল্যান্ড ২৬ জনকে শ্রেয়া ঘোষাল দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন।