প্রখ্যাত গায়ক কে কে আর আমাদের মাঝে নেই। গত কাল মঙ্গলবার ৩১ মে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কে কে-র মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতে ও চলচ্চিত্র মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কে কে-র পরিবারের অবস্থা আরও শোচনীয়। কে কে তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে চিরতরে শোকাহত রেখে গেছেন।
কেকে-র স্ত্রীর জন্য শৈশবের ভালবাসা হারানো বড় ধাক্কা। কেকে এবং জ্যোতির স্বপ্নময় প্রেমের গল্প সত্যিই যেন সিনেমার মতো। তাদের নিখুঁত সম্পর্ক এবং সুখী বিবাহিত জীবন যে কাউকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।
কে কে এবং তার স্ত্রী জ্যোতির মধ্যে ছিল অটুট প্রেম। কে কে-র সঙ্গীত জীবনে প্রবেশ এবং সেখানে প্রভূত নাম করার পিছনে জ্যোতির বিরাট ভূমিকা রয়েছে। KK-এর জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত ছিল মুম্বইতে স্থায়ী হওয়া, যা তার স্ত্রী তার জন্য নিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তের কারণে, কেকে-এর গানের কেরিয়ার শুরু হয়।
জ্যোতি পেশায় একজন চিত্রশিল্পী। তার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি তাঁর আশ্চর্যজনক সৃষ্টি দেখতে পারেন। জ্যোতির আঁকা ছবিগুলো অসাধারণ। রঙিন রঙে ক্যানভাসে এঁকে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশে তিনি পারদর্শী, তার চিত্রকর্মে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়।
বিশেষ বিষয় হল জ্যোতি ছবি আঁকার কোনও প্রশিক্ষণ নেননি। আগে ছবি আঁকা ছিল তাঁর শখ। যা পরবর্তীতে তার নেশা ও কর্মজীবনে পরিণত হয়। জ্যোতি দক্ষিণ ভারতীয়। তার বাবা-মা কেরালার বাসিন্দা। জ্যোতি ১৯৬৭ সালে নয়াদিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন।
জ্যোতি ছিলেন কে কে-এর শৈশবের প্রেমিকা। দুজনের প্রথম দেখা হয় ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময়। তারপর থেকে দুজনেই একসঙ্গে ছিলেন। বন্ধুত্ব, প্রেমের সম্পর্কের পর ১৯৯১ সালে বিয়ে করেন তারা। এই বিবাহ থেকে তার দুটি সন্তান রয়েছে, নকুল কৃষ্ণ কুন্নাথ এবং তমারা কুন্নাথ।
কেকে-র মতো তার দুই সন্তানও সঙ্গীত জগতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বাবার অ্যালবাম হমসফর-এ গান গেয়েছেন কেকে-র ছেলে নকুল। এই গানের নাম ছিল মস্তি। গায়কের মেয়ে তমারাও গান করেন। তিনি তার গানের ভিডিও ইন্সটাতে শেয়ার করতে থাকেন।