মানব শরীরের ক্ষিদা- তৃষ্ণা এবং অন্যান্য অনুভূতির মতো যৌন ইচ্ছা বা চাহিদাও খুব স্বাভাবিক একা প্রাকৃতিক বিষয়। তবে ভারতে একবিংশ শতাব্দীতেও এখনও সেগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা কম হয়। পুরুষদের মতো মহিলাদের হস্তমৈথুনও যে স্বাভাবিক, তা নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও কথাবার্তা নৈব নৈব চ।
তবে সময় পাল্টাচ্ছে। আর অন্যান্য অনেক কিছুর মতই সেই পরিবর্তন অনেকটা আনছে সিনেমা। 'সেক্স এডুকেশন', 'স্টোকার', 'ডিয়ার হোয়াইট পিপল', 'গার্লস' -এর মতো একাধিক হলিউড ছবিতে মহিলাদের হস্তমৈথুন দৃশ্য আলোচিত। তবে সেই আলোচনা বা বলা ভাল বিতর্ক আরও বহুগুণ বেড়েছে যখন এই ধরণের দৃশ্য দেখানো হয়েছে বলিউডে।
বেশ কয়েকটি হিন্দি ছবি ও ওয়েব সিরিজে, নায়িকাদের হস্তমৈথুন দৃশ্য গত কয়েক বছরে রীতিমতো চর্চায়। ট্রোলিং, সমালোচনা যেমন মিলেছে, তেমন সাহসী দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য প্রশংসিতও হয়েছেন অভিনেত্রীরা।
'ভীরে ডি ওয়েডিং' ছবিতে স্বরা ভাস্করের হস্তমৈথুন দৃশ্য নিয়ে কম কাটাছেঁড়া করা হয়নি। দৃশ্যে দেখা যায় তিনি ভাইব্রেটর ব্যবহার করছেন। এই নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতেও জোড় আলোচনা হয়। শেষমেশ সেই সময় মুখ খুলেছিলেন, স্বরার মা, ইরা ভাস্কর। তিনি বলেন, "স্বরার জন্য তিনি গর্বিত...।"
করণ জোহারের 'লাস্ট স্টোরিজ' -এ কিয়ারা আদবানির হস্তমৈথুন দৃশ্য যথেষ্ট জনপ্রিয়। এখানে তাঁকে দেখা যায় ভাইব্রেটর ব্যবহার করতে। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, "ভাইব্রেটর সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা ছিল না। আমায় গুগলের সাহায্য নিতে হয়েছিল অভিনয় করার আগে, এটা কীভাবে ব্যবহার করা হয় তা দেখা জন্য।"
জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ 'মির্জাপুর'-এ শ্বেতা ত্রিপাঠির হস্তমৈথুন দৃশ্য নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। তাঁর শুরুর দৃশ্যই দেখা যায় গোলু গুপ্তা ওরফে শ্বেতা লাইব্রেরীতে হস্তমৈথুন করছে। একটি সাক্ষাৎকারে এই দৃশ্য নিয়ে শ্বতা বলেন, "মহিলাদেও যৌন চাহিদা রয়েছে। এই দৃশ্যটিও আমার কাছে একেবারে স্বাভাবিক লেগেছে, কফি খাওয়ার মতই।"
'লিপস্টিক আন্ডার মাই বোরখা' -তে পঞ্চাশোর্ধ বুয়া জি, অর্থাৎ রত্না পাঠক শাহর হস্তমৈথুন দৃশ্য নানা আলোচনা শুরু হয়। গোটা ছবি নিয়েই অবশ্য কটুকথার অন্ত ছিল না। তবে এই বয়সে এসে এক মহিলা তাঁর থেকে বয়সে অনেক ছোট এক যুবকের প্রেমে পড়ে নিজের যৌন চাহিদা মেটানোয় মেতেছেন, তা মেনে নিতে অসুবিধা হয় অনেকের।