১৫ জানুয়ারি রাতে সইফ আলি খানের বাড়িতে তার ওপর হামলার বিষয়ে রবিবার সকালে একটি সংবাদিক সম্মেলন করেছে মুম্বাই পুলিশ। মুম্বই পুলিশের ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, থানে থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদ। মুম্বই পুলিশের বক্তব্য, 'প্রাথমিক তদন্তের পর আমরা এমন প্রমাণ পেয়েছি যা থেকে আমরা বলতে পারি অভিযুক্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। আমরা কিছুক্ষণ পর তার চিকিৎসা করিয়ে আদালতে হাজির করব।' জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে অভিযুক্তর রিমান্ড চাইবে মুম্বাই পুলিশ।
ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম বলেন, 'অভিযুক্তের কাছ থেকে কোনও বৈধ ভারতীয় নথি পাওয়া যায়নি। তাই তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে ৫-৬ মাস আগে মুম্বাই আসে এবং একটি হাউস কিপিং এজেন্সিতে কাজ করছিল।' অভিযুক্ত কি আগেও সইফের বাড়িতে এসেছে জানতে চাইলে ডিসিপি গেদাম বলেছেন যে, 'আমাদের কাছে এখনও এ সম্পর্কে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। আমাদের ধারণা, সে প্রথমবার চুরির উদ্দেশ্যে সইফের বাড়িতে প্রবেশ করেছিল।'
অভিযুক্ত শাহজাদ জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছে যে সে জানত না যে সইফ আলি খানের বাড়িতে প্রবেশ করেছে। অভিযুক্ত জানিয়েছে, তার উদ্দেশ্য ছিল চুরি করা এবং সে কারণেই বাড়িতে ঢুকেছিল। হঠাৎ সইফ আলি খান তার সামনে হাজির হন এবং সে অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে, যাতে সইফ আহত হন। মুম্বাই পুলিশের মতে, অভিযুক্তের কোনও অপরাধমূলক ইতিহাস নেই। পুলিশ মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদের সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে এবং জানার চেষ্টা করছে যে সে যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করল।
সইফ আলি খান তার পরিবারের সঙ্গে বান্দ্রার সাতগুরু শরণ বিল্ডিংয়ের ১১ এবং ১২ তলায় একটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে থাকেন। ১৫ থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে তার বাড়িতে ঢুকে এক চোর তাকে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে। তিনি ছয়টি আঘাত পেয়েছিলেন, যার মধ্যে একটি মেরুদণ্ডের কাছে ছিল। তাকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, যেখানে অভিনেতাকে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। তার পিঠ থেকে প্রায় ৩ ইঞ্চি লম্বা একটি ছুরি বের করা হয়। চিকিৎসকরা বলেছেন যে তিনি 'শঙ্কামুক্ত' এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া হতে পারে।