শনিবার অ্যাকোয়াটিকায় অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্টের দুদিন পরও শহরবাসীর হ্যাংওভার কাটছেনা। যাঁরা এই শোয়ের সাক্ষী থেকেছেন, তাঁরাই জানেন এটা। শুধু হিন্দি নয়, বাংলা গানে গানে অরিজিৎ আসর জমিয়ে তুলেছিলেন রীতিমতো। অরিজিৎ-এর এই শো নিয়ে শহরবাসীর যেমন উন্মাদনা তুঙ্গে ছিল তেমনিই তাঁর শো নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। তবে কনসার্টে অরিজিৎ যেভাবে গানগুলি সাজিয়েছেন তা সত্যিই অসাধারণ। কিন্তু জানেন কী এই কনসার্টের ডিজাইন কারা এবং কীভাবে করেছেন।
অরিজিৎ সিং কনসার্টের পিছনে কারা ছিলেন
শনিবারের কনসার্টে অরিজিৎকে কখনও দেখা গিয়েছে তাঁর সুপারহিট গান গাইতে আবার কখনও বা দেখা গিয়েছে মান্না দে-হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান গাইতে। এখানেই থেমে থাকেননি গায়ক, তাঁর প্রিয় রকস্টার রূপম ইসলামকে নিয়ে তাঁদের যুগলবন্দী দর্শকদের কাছে উপরি পাওনা ছিল। রকস্টারের একটার পর একটা গানে মঞ্চে আগুন ঝরালেন অরিজিৎ, ভক্তদের মনেও, কখনও বা একটার পর একটা জনপ্রিয় ব্যান্ডের গান তো কখনও বর্তমান সময়ের ভালোবাসার মরশুম। সেকাল থেকে একাল বাংলা গানের মেলা বসিয়েছিলেন যেন তিনি মঞ্চে। অরিজিৎ-এর কনসার্ট শুনলে মনে হতেই পারে তিনি এলেন এবং মন জয় করে চলে গেলেন। কিন্তু কীভাবে বা কারা এই গান সাজালেন, অনুষ্ঠানের আগের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অরিজিতের ব্যান্ডের গিটারিস্ট জন পল এক সাক্ষাৎকারে একাধিক তথ্য শেয়ার করেছেন।
আরও পড়ুন: 'আমার রকস্টার এখানে', প্রিয় শিল্পী রূপম ইসলামকে ট্রিবিউট অরিজিৎ-এর
বাংলার প্রতি অরিজিৎ-এর ভালোবাসা
অরিজিতের কনসার্ট প্রসঙ্গে জন আরও জানান যে গায়ক কিছু টিপসও দেন, যাতে দর্শকদের মন ছুঁয়ে যেতে পারে। তবে এবারের কনসার্টে এত বাংলা গান রাখার প্রয়োজন কী ছিল এ প্রসঙ্গে জন জানিয়েছেন যে বিশেষ কিছু টিপস দেন যাতে শো দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। কিন্তু এবারের শোতে পর পর এত বাংলা গান রাখার কি বিশেষ কোনও কারণ আছে? এই বিষয়ে তিনি বলেন, 'বাংলা আমার ভালোবাসা, আবেগও। অরিজিৎ নিজে বাংলাকে, বাংলা ভাষাকে ভীষণ ভালোবাসেন। সেদিক থেকে মানসিকভাবে আমাদের ধারণা কিছুটা এক। এই কনসার্টের জন্য অরিজিৎ বাংলা গান বেছে নিয়েছিলেন কিছু। আমার সৌভাগ্য হয় তাঁর সঙ্গে বসে গোটা বিষয়টা ডিজাইন করার যে কোন কোন গান হবে না হবে সেটার। খুব সুন্দর সময় কেটেছে। এমন গানও আমরা গেয়েছি যা ছোট বেলায় শুনেছি। এখন আর সেভাবে শোনা হয় না। ওর কিছু কিছু প্রিয় গানও তালিকায় ছিল।'