scorecardresearch
 

Jiyah Khan Suicide Case: ১০ বছর পর জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় বেকসুর খালাস সুরজ পাঞ্চোলি

Jiyah Khan Case- Sooraj Pancholi: জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় সিবিআই আদালত বেকসুর খালাস করেছে সুরজ পাঞ্চোলিকে। অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছেন তিনি।

Advertisement
জিয়া খান ও সুরজ পাঞ্চোলি জিয়া খান ও সুরজ পাঞ্চোলি

১০ বছর পর অবশেষে বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু মামলার রায় এল। মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত সুরাজ পাঞ্চোলিকে বেকসুর খালাস করেছে। আদালতের এই রায়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন জিয়ার মা রাবিয়া। তিনি সিবিআই আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবেন বলে জানা যাচ্ছে। 

বড় স্বস্তি পেলেন সুরজ পাঞ্চোলি

জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় সিবিআই আদালত বেকসুর খালাস করেছে সুরজ পাঞ্চোলিকে। অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছেন তিনি। আদালত প্রমাণের অভাবে সুরজকে খালাস দেয়। আদালত বলেছে, সুরজের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি। রায়ের পর আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা। সুরাজের মা জরিনা ওয়াহাবও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। যদিও এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন জিয়া খানের মা রাবিয়া।

রায়ের পর কী বললেন জিয়ার মা?

আদালতের রায় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রাবিয়া। তিনি এখনও হাল ছাড়েননি। রাবিয়া বলেন, এখনও চূড়ান্ত বিচার হয়নি। প্রমাণের অভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিবিআই ঠিক মতো কাজ করেনি। আমার এখনও প্রশ্ন, কীভাবে আমার মেয়ে মারা গেল? এই রহস্যের এখনও সমাধান হয়নি। এই রায়কে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করব।

কেরিয়ারের শীর্ষে আত্মহত্যা করেন জিয়া

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই সেনসেশন হয়ে উঠেছিলেন জিয়া খান। ৩টি ছবিতে অভিনয় করে যথেষ্ট সফলতা অর্জন করেন তিনি। বহু নায়িকা বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করেও এরকম সাফল্য পায় না অনেক ক্ষেত্রে। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে 'নিশব্দ' ছবিতে বড় পর্দায় ডেবিউ হয়েছিল জিয়ার। এরপর 'হাউসফুল' ও 'গজনী'-তে অভিনয় করেন তিনি।

জিয়া খানের মৃত্যু 

৩ জুন, ২০১৩ না ফেরার দেশে পাড়ি দেন জিয়া খান। ২৫ বছর বয়সী অভিনেত্রীর মৃত্যু খবর সামনে আসার পর থেকে, চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে অনুগামীরা হতবাক হয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় হয়েছিল সেসময়। সকলের মনে ঘুরছিল একটাই প্রশ্ন, কেন এই পদক্ষেপ নিলেন জিয়া।

Advertisement

সুরাজ পাঞ্চোলির সঙ্গে প্রেম 

জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর মা সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, জিয়ার মৃত্যুর জন্য সুরজ দায়ী। জিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সুরজ। তিনিই জিয়াকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছিলেন। যদিও সুরজ সব সময় নিজেকে নির্দোষ বলেন।

জিয়ার মৃত্যুর পর ৬ পৃষ্ঠার একটি চিঠি পায় পুলিশ। যেখানে তিনি তাঁর অবস্থা ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি সুরজ পাঞ্চোলির সঙ্গে ডেটিং করছিলেন। কিন্তু এই সম্পর্ক তাঁকে সুখ কম আর কষ্ট দিয়েছে বেশি। অভিনেত্রীর চিঠির ভিত্তিতে পুলিশ সুরজ পাঞ্চোলিকেও গ্রেফতার করে। যাকে পরে বোম্বে হাইকোর্ট জামিন দেয়। কিন্তু হাল ছাড়েননি অভিনেত্রীর মা। রাবিয়া আবারও আদালতে আবেদন করেন। মামলা যায় সিবিআইয়ের কাছে। রাবিয়া প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছেও সাহায্য চেয়েছিলেন।

চিঠিতে কী লিখেছেন জিয়া?

চিঠিতে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর হারানোর কিছু নেই। তিনি অন্তর থেকে ভেঙ্গে গিয়েছেন। সে প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু যাকে ভালোবেসেছিলেন, তিনি তাঁকে প্রতিদিন কষ্ট দেন। তাঁর সব স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়। জিয়া লিখেন যে, তিনি মনে করেন তিনি অন্তর থেকে মৃত। অভিনেত্রী বলেন যে, তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে। জিয়া এক পৃষ্ঠায় লেখেন, "কষ্ট হচ্ছে, আপনি যাকে ভালোবাসেন, সে আপনাকে গালিগালাজ করে, হুমকি দেয় এবং প্রতারণা করে, অন্য মেয়েদের জন্য।" 

সুরজ পাঞ্চোলি কে?

৩২ বছর বয়সী সুরজ পাঞ্চোলির ছবির পটভূমি রয়েছে। তিনি আদিত্য পাঞ্চোলি ও জরিনা ওয়াহাবের ছেলে। সুরজের দাদা রাজন পাঞ্চোলি ছিলেন একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। জিয়া খানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সুরজের। জিয়ার আত্মহত্যায় সুরাজের নাম উঠতেই মানুষ তাঁকে চিনতে শুরু করে। ২০১৫ সালে 'হিরো' ছবির মাধ্যমে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। সুরজকে লঞ্চ করেছিলেন সলমন খান। অভিনেতার প্রথম ছবি ছিল ফ্লপ। এরপরে তিনি 'টাইম টু ড্যান্স', 'স্যাটেলাইট শঙ্কর'-এ কাজ করেন। তাঁর হাতে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি কাজ। 

 

Advertisement