scorecardresearch
 

Toofaan Review: প্রেডিক্টেবল গল্পে পাওনা শিল্পীদের অভিনয়

সিনেমায় ফারহান আখতারের ট্রান্সফর্মেশন দেখার মতো। ট্রান্সফর্মেশন তিনি আগেও দেখিয়েছেন ভাগ মিলখা ভাগ-এ। কিন্তু সেখানে তাঁকে মোটা হতে হয়নি। এখানে ওজন বাড়িয়ে তার পর ফের পুরনো আদলে ফিরেছেন ফারহান। নম্বর যেটুকু কাটা যাচ্ছে তা প্রেডিক্টেবল হওয়ার জন্য। সিনেমায় বড় কোনও খুঁত নেই। শেষে দিকে খানিকটা তাড়াহুড়ো করে ফেলেছেন পরিচালক।

Advertisement
তুফান মুভি রিভিউ তুফান মুভি রিভিউ
হাইলাইটস
  • সুপ্রিয়া পাঠক, মোহন আগাশে বা পরেশ রাওয়াল কী মাপের অভিনেতা তা দর্শকরা ভালোই জানেন।
  • অনন্যার ভূমিকায় মৃণাল ঠাকুর এবং আজ্জু ভাইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট মুন্নার ভূমিকায় হুসেন দালাল খুব ভালো।
  • গানগুলো আরও ভালো করা যেত।

Review: Toofaan

ছবি: তুফান
কাস্ট: ফারহান আখতার, পরেশ রাওয়াল, মৃণাল ঠাকুর, মোহন আগাশে, সুপ্রিয়া পাঠক
পরিচালক: রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা
রেটিং: ৩/৫

খেলা নিয়ে সিনেমা মানে অনুপ্রেরণা, উত্থান আর জিতে যাওয়ার গল্প। প্রতিকূলতাকে জয় করে স্রোতের উল্টো দিতে সাঁতার কাটার গল্প। সে দিক থেকে দেখলে ফারহান আখতার, পরেশ রাওয়াল, মৃণাল ঠাকুর, মোহন আগাশে, সুপ্রিয়া পাঠক অভিনীত তুফান কিন্তু যথেষ্ট প্রেডিক্টেবল। মুম্বইয়ের 'ডোংরির টাপোরি' আজ্জু ভাই ওরফে আজিজ আলি থেকে বক্সিং কী ভাবে তুফান হয়ে ওঠেন ফারহান, তা সিনেমা দেখতে বসে মোটামুটি ভাবে আগাম আঁচ করতে পারবেন দর্শকরা। কিন্তু ছবির পাওনা অবশ্যই শিল্পীদের অভিনয়।

 

প্লট
আজিজ আলি (ফারহান আখতার)। মারামারিতে প্রবল আগ্রহ। কারণ ছোটবেলা থেকে যে পরিবেশে মানুষ হয়েছে তাতে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করার প্রয়োজন ছিল। সেই লড়াই তাকে করে তুলেছিল আজ্জু ভাই। স্থানীয় দোকান, রেস্তোরাঁ থেকে সে তোলা তুলত জাফর ভাইয়ের হয়ে। মূলত জাফরের ডান হাত ছিল আজ্জু। তোলা তুলতে গিয়ে মারামারিতে জখম আজিজ হাসপাতালে যায় ব্যান্ডেজ করাতে। সেখানেই আলাপ হয় ডাক্তার অনন্যার (মৃণাল ঠাকুর) সঙ্গে। আজ্জু ভাই থেকে আজিজ আলি বক্সার হয়ে ওঠার পিছনে অনন্যাই ছিল প্রধান মোটিভেশন। রাস্তায় মারামারি করার বদলে বক্সিং রিংয়ে নিজের ট্যালেন্ট দেখানোর কথা বেশ মনে ধরে আজিজের। সেই সূত্র ধরেই কোচ নানা প্রভু-র (পরেশ রাওয়াল) কাছে কোচিং নিতে যায় সে।

ছাত্রের আগ্রহ দেখে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে বক্সিং শেখাতে রাজি হন নানা। এখানে একটি সাম্প্রদায়িক অ্যাঙ্গেলও রয়েছে। রাজ্যস্তরে বিপক্ষকে পর পর নক আউট করে ফাইনাল জেতে আজিজ। সেখান থেকেই তার নাম হয় তুফান। নামকরণ করেন খোদ নানা। তার পর কী কারণে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়, কী কারণে বক্সিং থেকে সরে যেতে হয় আজিজ-কে, তা তোলা থাক দর্শকদের জন্য। কারণ সব বললে নষ্ট জীবন! তার সঙ্গে সিনেমা দেখার মজা।

Advertisement

সিনেমায় ফারহান আখতারের ট্রান্সফর্মেশন দেখার মতো। ট্রান্সফর্মেশন তিনি আগেও দেখিয়েছেন ভাগ মিলখা ভাগ-এ। কিন্তু সেখানে তাঁকে মোটা হতে হয়নি। এখানে ওজন বাড়িয়ে তার পর ফের পুরনো আদলে ফিরেছেন ফারহান। সুপ্রিয়া পাঠক, মোহন আগাশে বা পরেশ রাওয়াল কী মাপের অভিনেতা তা দর্শকরা ভালোই জানেন। তাঁরা নামের প্রতি যথাযথ সুবিচার করেছেন। অনন্যার ভূমিকায় মৃণাল ঠাকুর এবং আজ্জু ভাইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট মুন্নার ভূমিকায় হুসেন দালাল খুব ভালো।

নম্বর যেটুকু কাটা যাচ্ছে তা প্রেডিক্টেবল হওয়ার জন্য। সিনেমায় বড় কোনও খুঁত নেই। শেষে দিকে খানিকটা তাড়াহুড়ো করে ফেলেছেন পরিচালক। ৫ বছর পর ফিরে মাত্র তিন মাসে নিজেকে চ্যাম্পিয়ন করে তুলতে গেলে কোচের গাইডেন্স প্রয়োজন হয়। একা একা হয় না। গানগুলো আরও ভালো করা যেত। আজ থেকে ৩ মাস বাদে হয়তো সিনেমার গান কারও মনে থাকবে না। এই জায়গায় খানিকটা খামতি থেকে গিয়েছে।

মোটের উপর তুফান দেখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে দর্শকদের জন্য।

 

Advertisement