পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট (Porn Film) তৈরির অভিযোগে বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির (Shilpa Shetty) স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে (Raj Kundra) গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Mumbai Police Crime Branch)। পর্ন ছবি বানানো নিয়ে এ ভারতীয় দণ্ডবিধির আইন বেশ শক্ত। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ইনফর্মেশন টেকনলজি অ্যাক্টও। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আই টি অ্যাক্টেও বেশ কড়া শাস্তির নিদান তৈরি হয়েছে। যাতে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়। রাজ কুন্দ্রা যদি দোষী প্রমাণিত হন, সে ক্ষেত্রে তাঁর বড় ধরনের শাস্তি হতে পারে।
অ্যান্টি পর্নোগ্রাফি আইন
বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই ঘৃণ্য ব্যবসার জালে বহু মানুষের জীবন তছনছ হয়ে গিয়েছে। পর্নোগ্রাফি নিয়ে এ দেশের আইনে কঠোর শাস্তির নিদান দেওয়া রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, ছবি, ভিডিও, টেক্সট, অডিও এবং সেক্স সম্পর্কীয় সামগ্রী যা যৌনতা এবং নগ্নতার সঙ্গে জড়িত, এ সমস্ত কনটেন্ট ইন্টারনেটে প্রকাশ করলে, কাউকে পাঠালে অথবা অন্য কোনও ব্যক্তির সাহায্যে তা প্রকাশ করা বা পাঠানো হলে অ্যান্টি পর্নোগ্রাফি আইন লাগু হয়।
Actress Shilpa Shetty's husband & businessman Raj Kundra has been taken for medical examination at JJ hospital by Property Cell of Mumbai Police's Crime Branch
— ANI (@ANI) July 19, 2021
He was later taken to Mumbai Police Commissioner's office. pic.twitter.com/Nvv8zd3nY2
অশ্লীল ভিডিও তৈরি করা অপরাধ
কোনও ব্যক্তির নগ্ন বা অশ্লীল ভিডিও তৈরি করা বা এম এম এস তৈরি করে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে তা অন্য ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিলে, বা কারও ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁকে অশ্লীল মেসেজ বা ছবি, ভিডিও পাঠানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা রুজু করা হয়। পর্নোগ্রাফি প্রকাশ করা, প্রসার করা, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ছড়ানো অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়। কিন্তু তা দেখা অপরাধ নয়। তবে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখাও অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়।
IT অ্যাক্ট এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তি
এ ধরনের মামলা ২০০৮ আইটি অ্যাক্টের ৬৭ A এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯২, ২৯৩, ২৯৪, ৫০০, ৫০৬ এবং ৫০৯ ধারায় অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। প্রথমবার এ ধরনের অপরাধ করলে ৫ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। দ্বিতীয় বার করলে শাস্তি বেড়ে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে।