
জলন্ধরের রেচল গুপ্তা মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪ খেতাব জিতে ইতিহাস তৈরি করেছেন। কিন্তু এখন এই খেতাব জেতার প্রায় এক বছর পর, তাঁর কাছ থেকে মুকুটটি ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার পক্ষ থেকে এটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে রেচল দাবি করেন যে, তিনি নিজেই খুব ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি, যেখানে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিষাক্ত পরিবেশ এবং মুকুট ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ উল্লেখ করেছেন।
রেচল গুপ্ত তাঁর পোস্টে লিখেছেন, "বিশ্বজুড়ে আমার সমস্ত সমর্থকদের যদি এই খবরটি আপনাকে হতাশ করে থাকে, তাহলে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমার পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আপনাদের বুঝতে হবে যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না। তবে এটি আমার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। সত্যি খুব শীঘ্রই বেরিয়ে আসবে। আমি আপনাদের সকলকে খুব ভালোবাসি। মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪ খেতাব থেকে পদত্যাগ করার এবং আমার মুকুট ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই খবরটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পেরে আমি গভীরভাবে দুঃখিত।"
তিনি আরও লিখেছেন, "এই মুকুটটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নগুলির মধ্যে একটি ছিল। আমি আশা করেছিলাম এবং গর্বিত ছিলাম যে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করব এবং ইতিহাস গড়ব। কিন্তু মুকুট জেতার পরবর্তী মাসগুলিতে আমার অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ। সব স্বপ্ন ভেঙেছে, দুর্ব্যবহার এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশে পরিপূর্ণ ছিল যা, আমি আর নীরবে সহ্য করতে পারিনি। আমি এই সিদ্ধান্তটিকে হালকাভাবে নিইনি। আগামী দিনে, আমি এই কঠিন যাত্রার পিছনের বিবরণ ব্যাখ্যা করে একটি সম্পূর্ণ ভিডিও শেয়ার করব। আমি এই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আপনাদের আশীর্বাদ ও সমর্থন চাইছি। আপনাদের ভালোবাসা আমার কাছে আমার কল্পনার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"
অন্যদিকে গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার তরফে অন্য কথা বলা হয়েছে। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে ,তারা নিজেরাই রেচলকে এই পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তিনি আর এই খেতাব ব্যবহার করার অধিকারী নন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করেছে যে, তারা মিস রেচল গুপ্তাকে বরখাস্ত করছে। নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা, সংস্থার পূর্বানুমতি ছাড়া বহিরাগত প্রকল্পে যোগদান এবং অস্বীকৃতি জানানোর কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংস্থা জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে তার খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।