বলিউড অ্যাক্ট্রেস আলিয়া ভাট ভারতীয় সিনেমা একটা একজন বড় তারকা। তিনি কম বয়সেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন তাঁর অভিনয় দক্ষতা এবং ক্যারিজমায় তিনি সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন। তাঁর অভিনয়ের তারিফ বড় বড় অভিনেতারাও করেছেন। হিন্দি সিনেমার টপ অ্যাক্ট্রেস এর মধ্যে এখন তিনি অন্যতম। তার হাতে এই মুহূর্তে একগুচ্ছ সিনেমা এবং যেখানে তিনি পা রাখছেন সেখানেই সাফল্য নিয়ে আনছেন। এখন আলিয়া খুব তাড়াতাড়ি একটা রণবীর কাপুরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন। এই খবর এখন পুরনো হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু এর মধ্যেই আলিয়া এবং রণবীরের বেশকিছু চমকদার খবর সামনে এসেছে। তার ফাস্ট ডেটিং, ফ্যামিলি রিলেশনশিপ, এই ধরনের বিষয়গুলি চর্চায় রয়েছে। এরই মধ্যে একটা প্রশ্ন উঠেছে আলিয়ার নাগরিকত্ব নিয়ে। আলিয়া ভারতীয় অ্যাক্ট্রেস হওয়া সত্ত্বেও ভারতীয় নাগরিক নন। তিনি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হোল্ড করেন। ব্রিটিশ সিটিজেনশিপ কারণে আলিয়া ভাট এদেশে ভোটও দিতে পারেন না। এ নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে আলিয়া কী বলেন?
কিছু বছর আগে একটি ইন্টারভিউতে আলিয়া ভাট জানিয়েছেন, নিজের নাগরিকত্ব বিষয়টি তিনি বলেছিলেন যে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি ভোট দিতে পারি না। কারণ আমার কাছে ব্রিটিশ পাসপোর্ট রয়েছে। পরেরবার ইলেকশনের আগে আমি চেষ্টা করব এটি ভারতীয় নাগরিকত্বে বদলে ফেলা যায় কি না। আমি ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে গোটা বিশ্বে ঘুরতে চাই। অন্তত দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ভারতের দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনও রকম সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই। এই কারণে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া এখনও হয়নি। তাহলে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব তাঁকে ছাড়তে হবে।
আলিয়া ব্রিটিশ নাগরিকত্বের কারণ কী?
আলিয়ার ব্রিটিশ নাগরিকত্বের পিছনের কারণ হিসেবে তাঁর বাবা মহেশ ভাট একটা বক্তব্য জানিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন আলিয়ার মা সোনি রাজদান ব্রিটিশ কন্যা ও সেখানকার নাগরিক। আলিয়ার জন্মের সময় সোনি ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে ছিলেন। সেখানেই জন্ম হয় আলিয়ার। মামার বাড়িতে জন্মের কারণে ইংলিশ সংবিধান অনুযায়ী অটোমেটিক ব্রিটিশ নাগরিক হয়ে যান আলিয়া।
আলিয়ার মতোই যাঁরা বিদেশী নাগরিক
আলিয়ার মতোই অক্ষয় কুমারের কানাডার নাগরিকত্ব নিয়ে বেশকিছু বার অক্ষয় কুমারকে লোকেরা তোপের মুখে ফেলেছিলেন। তাকে কানাডা কুমার বলেও ট্রোল করা হয়। অক্ষয় কুমার কানাডার নাগরিকত্ব হোল্ড করেন। কামাল রশিদ খান এই বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার সরব হয়েছেন এবং সর্ব সমক্ষে তার নিন্দা করেছেন। এর আগে তিনি এদিকে নাগরিকত্ব নিয়ে সেলেবদের কটাক্ষ করতে শুরু করেন। তিনি টুইট করেন যদি আমি এক ঘন্টার জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাযই তাহলে প্রথম কাজ করবে অক্ষয় কুমার আলিয়া ভাট এবং জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে দেশ থেকে বাইরে বের করব।তাদের তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাঁরা ছাড়াও আরও অন্য কিছু অভিনেতারা বিদেশী নাগরিক। তার মধ্যে দীপিকা পাড়ুকোন, ইমরান খান, সানি লিওনি, ক্যাটরিনা কাইফের বিদেশি নাগরিকত্ব রয়েছে।