টলিউড পরিচালক পাড়ি দিলেন এবার বলিউডে। রহস্য-রোমাঞ্চে ভরপুর 'ছিপকলি' সিনেমার হাত ধরে পরিচালক কৌশিক কর বলিউডে নিজের পসার জমাতে চলেছেন। যশপাল শর্মা অভিনীত 'ছিপকলি' সিনেমার মাধ্যমে হিন্দি সিনেমার জগতে এবার নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন পরিচালক। ইতিমধ্যেই এই সিনেমার ফার্স্টলুক প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সিনেমার চরিত্রদের ফার্স্টলুক সামনে এল।
যশপাল শর্মা লেখকের ভূমিকায়
এই সিনেমার গল্প এক লেখককে কেন্দ্র করে। ছবিতে অলোক চতুর্বেদীর ভূমিকায় দেখা যাবে বলিউডের খ্যাতনামা অভিনেতা যশপাল শর্মাকে। যিনি এক মধ্যবয়স্ক লেখক। পেশাগত জীবনে অসফল। তাঁর কাছে জীবনের মানে অন্য। সে পেশায় প্রাইভেট ডিটেকটিভ। অলোক (যশপাল)-এর স্ত্রী ও ছেলে খুন হন। সেই মারফতই পরিচয় হয় যোগেশের সঙ্গে। একের পর এক ঘটনা গল্পে ঘটে চলেছে। পুরো গল্পে, অলোক দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন সবকিছু।
আরও পড়ুন: Sushmita Sen Heart Attack: সুস্মিতা সেনের হার্ট অ্যাটাক, কেমন আছেন প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স?
বাংলার যোগ রয়েছে এই সিনেমার সঙ্গে
বলিউড সিনেমা হলেও তার সঙ্গে বাংলার যোগ রয়েছে আদ্যপান্ত। এই সিনেমার শ্যুটিং যেমন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে তেমনি সিনেমায় সংগীত পরিচালনা করেছেন বাঙালি সংগীত পরিচালক মিমো। যিনি ‘যখের ধন’, ‘আলিনগরের গোলকধাঁধা’, ব্যোমকেশ, ডার্ক ওয়েব-এর সংগীত পরিচালনা করেছিলেন। এর পাশাপাশি এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখতে চলেছেন অভিনেত্রী তন্বীষ্ঠা বিশ্বাস, যিনি নিজেও বাঙালি।
চরিত্রদের প্রথম লুকস সামনে
অলোক চতুর্বেদীর চরিত্রে যেমন দেখা যাবে যশপাল শর্মাকে। তেমনি ‘রুদ্রাক্ষ রায়’ নামের চরিত্রে দেখা যাবে যোগেশ ভরদ্বাজকে এবং ‘বিদিশা’চরিত্রে দেখা যাবে তন্বীষ্ঠা বিশ্বাসকে। হিন্দিতে ছবিটি তৈরি হলেও বেশির ভাগ কাজ হয়েছে কলকাতা এবং আশপাশে। ছবির বেশির ভাগ কলাকুশলীও বাংলার। ছবির বেশির ভাগ কলাকুশলীও বাংলার। যেমন ছবির সুরকার মিমো। তিনি ছবি অন্যতম প্রযোজকও। তাঁর সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সর্বেশ কাশ্যপ। সম্পাদনায় পবিত্র জানা। ক্যামেরায় সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। গান লিখেছেন সোহম মজুমদার। কণ্ঠ দিয়েছেন শান, স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক, দেবযানী যোশি। চলতি বছরের ৭ এপ্রিল এই সিনেমাটি মুক্তি পাবে।
বহরমপুরে শ্যুটিং হয়েছে
কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে যশপাল শর্মা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরে শ্যুটিং চলাকালীন বহু নতুন মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তাঁর। পাশাপাশি পরিচালক কৌশিক করের পরিচালনা এবং বোঝানো খুব স্বচ্ছ। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু পরিচালক কৌশিক করের মতো এত প্যাশনেট এবং এত স্বচ্ছ স্ক্রিপ্টের পরিচালক আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি। উনি নিজেই চিত্রনাট্য লিখেছেন। এই ছবি আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি রয়ে যাবে। আমি আমার ১০০ শতাংশ দিয়ে ছবিতে অভিনয় করেছি।’।