নতুন বছরে একের পর এক চমক নিয়ে আসছেন পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক। এবারে আসছে তাঁর শর্ট ফিল্ম 'দ্য ইনসাইড জব' (The Inside Job)।
৩০ মিনিটের এই ছবিটি আসছে অ্যাসর্টেড মোশন পিকচার্স এবং বিগ ব্যাং অ্যামিউজমেন্টের প্রযোজনায়। এই ছবির প্রযোজনায় থাকছেন অরিত্র দাস, সর্বানি মুখার্জী ও দিব্যেন্দু পাল।
সাসপেন্স থ্রিলারধর্মী এই ছবিতে মুখ্য রয়েছেন চরিত্রে সাহেব চট্টোপাধ্যায় , শ্রীলেখা মিত্র, প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য, রাজদীপ সরকার। এছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন রিমো, শুভ্রনীল প্রমুখরা।
শুরু হয়েছে ছবির কাজ। শ্যুট হবে কলকাতার বিভিন্ন লোকেশনে । ছবির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখছেন জিৎ মজুমদার। সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন সৌভিক বসু। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন সৌম্য ঋত।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এই প্রথম কাজ করতে চলেছেন শিলাদিত্য। ছবির বিষয়ে তিনি জানালেন, " 'দ্য ইনসাইড জব'-র গল্প সাইবার ক্রাইমের উপর নির্ভর করে নির্মিত। প্রোজেক্টটা নিয়ে আমি খুব উৎসাহিত কারণ এই ছবির মধ্যে দিয়ে সাহেব ও শ্রীলেখা দীর্ঘদিন পরে একসঙ্গে কাজ করছেন। দুটি চরিত্রই ভীষণ অন্যরকম। অন্যদিকে আমিও সাইবার ক্রাইম নিয়ে এই প্রথমবার কাজ করছি। সুতরাং আমাদের সকলের জন্যই এই ছবি অনেক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছে।"
শিলাদিত্য আরও বলেন, "ছবিটি ওয়েব কনটেন্ট ও তার বর্তমান আন্তর্জাতিক গুণমানের কথা মাথায় রেখে, আমি চাই আমার শৈল্পিক সীমানা এই ছবির জন্যে অনেক বিস্তার করতে। ছবিতে অ্যাকশন রয়েছে। মাইন্ড গেমের কিছু দৃশ্যও রয়েছে। এছাড়া অনেক চড়াই উৎরাই রয়েছে। আর আমায় যেহেতু দর্শকেরা, রোম্যান্টিক ছবির পরিচালক হিসেবেই বেশি চেনেন, তাই এই কাজটি অনেক বেশি স্পেশাল হতে চলেছে।"
অ্যাসর্টেড মোশন পিকচার্সের তরফে প্রযোজক অরিত্র দাসের কথায়, " ২০২০-র প্যান্ডেমিক পরিস্থিতির পরে আমরা যে ছবির কাজ শুরু করতে পেরেছি, সেটাই আমাদের কাছে অনেক সৌভাগ্যের বিষয়। খুব কম সময়ের মধ্যে এই কাজ রূপায়িত করার সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি আমরা। এর জন্যে ধন্যবাদ জানাতে হয় ছবির পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিককে। ধন্যবাদ জানাই সমস্ত কলা কুশলীদের এই প্রোজেক্টটিকে সাপোর্ট করার জন্যে। একজন বাঙালি হিসেবে ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি সত্যি আপ্লুত।"
বিগ ব্যাং অ্যামিউজমেন্টের সহ প্রতিষ্ঠাতা সুদীপ মুখার্জী জানান, "এক প্রভাবশালী গল্প এবং পাওয়ারফুল কনটেন্টের সঙ্গে বিগ ব্যাং অ্যামিউজমেন্ট সারা বিশ্বের মানুষকে বিনোদন দিতে চলেছে। ছবি হিসেবে এই ছোট ছবিতেও একটা জটিল প্লট, বর্ণময় পরিচালনা এবং দূর্দান্ত সব পারফরমেন্স মানুষের কাছে তুলে ধরবে। এই ছবি আমাদের ছোট ছবির মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর বৃহত্তম কনটেন্ট লাইব্রেরী নির্মাণের পথে প্রথম পদক্ষেপ বলা যায়।"