বলা হয়েছে পৃথিবীতে এমন একজন ব্যক্তি রয়েছেন যিনি আরেকজনের হুবহু ডুপ্লিকেট। এই কথাতে কতটা সত্যতা রয়েছে তা হলফ করে কেউ বলতে পারে না। কিন্তু এটা নিশ্চয়ই আমাদের আশপাশে অনেকে এমন রয়েছেন, এখন যেমন দুটো সানি লিওনি আছেন। পার্থক্য শুধু এটাই সানি লিওন রয়েছেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এবং অপরজন ভোজপুরিতে।
দেখুন ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির সানি লিওনি বলা হয় যাঁকে, সেই প্রাচী সিং-এর কিছু ছবি। প্রাচী নিজের গ্ল্যামারাস স্টাইলে বলিউড অ্যাক্ট্রেসদের কড়া প্রতিদ্বন্দিতায় ফেলে দিয়েছেন। এ কারণেই ইন্ডাস্ট্রিতে লোক তাঁকে সানি লিওনের সমকক্ষ মনে করেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রাচী সিং প্রায় প্রতিদিনই নিজে ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন রকম কিলার ছবি পোস্ট করতে থাকেন। প্রাচী সিং এর ছবির উপর ফ্যানেরা খুব জমিয়ে তারিফ করতে নজরে এসেছেন। যাতে তার পোস্ট এর গতি আর ও বেড়ে যেতে থাকে।
প্রাচী নিজের গ্ল্যামারাস লুক দিয়ে আম্রপালি দুবে, আকসারা সিং, মোনালিসা এবং পুনম দুবের মতো সুপারস্টারকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। এ কারণে প্রায় প্রতিদিনই নিজের লুকস-এ তিনি শিরোনামে থাকতেন।
ভোজপুরি সিনেমার সানি লিওনি অর্থাৎ প্রাচি সিং মেরে পেয়ার সে মিলা দে সিনেমার মধ্য দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন। প্রথম সিনেমাতেই মানুষের নজরে এসেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি বহু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করে ফেলেছেন।
প্রাচীর প্রতিটি ছবিতে ভক্তদের হৃদয়ে জ্বালা ধরিয়ে দেওয়ার মতো অ্যাটিটিউড শো করে থাকেন। এ কারণেই তার চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইনস্টাগ্রাম হোক বা সাধারণ সোশ্যাল সাইটে তার ছবি পোস্ট হলেই তা ধরাধর লাইক পড়তে থাকে। মিউজিক ভিডিওগুলি অত্যন্ত পপুলার হয় এবং তা ভাইরাল হতে শুরু করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের গ্ল্যামারাস লুক নিয়ে হেডলাইনে থাকা প্রাচী সিং ট্রাভেল করতে অত্যন্ত পছন্দ করেন। অন্যদিকে প্রাচী আবার প্রবল কৃষ্ণভক্ত। এ কারণে তিনি যেখানেই যান নিজের বালকৃষ্ণজিকে সঙ্গে নিয়ে চলেন।
অ্যাক্টিং ছাড়া প্রাচী কৃষ্ণভক্তিতে লীন থাকতে পছন্দ করেন। কাজ থেকে ফুরসত পেলেই তিনি শান্তি এবং প্রশান্তির খোঁজে কৃষ্ণমন্দির গুলিতে ভিজিট করতে পছন্দ করেন। যেখানেই যান সেখানকার স্থানীয় কৃষ্ণ মন্দিরে খোঁজ পেলে তিনি সেখানে ঘুরে আসেন। গ্ল্যামার এবং ভক্তির ককটেল তাকে আরও ইউনিক অভিনেত্রী হিসেবে মানুষের মধ্যে তার প্রতি শ্রদ্ধা বাড়িয়ে তুলেছে।