দক্ষিণী পাওয়ার কাপল ধনুষ-ঐশ্বর্যা, তাঁদের বিয়ের ১৮ বছর পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যৌথ বিবৃতিতে দু'জনেই একথা সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন সোমবার। যদিও এই খবরটি পেয়ে ভক্তরা যথেষ্ট অবাক হয়েছেন। তবে দু'জনের ঘনিষ্ঠদের জন্য এটি বিস্ময়কর ছিল না।
কেন নিজেদের পথ আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিলেন এই তারকা জুটি? ধনুষের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইন্ডিয়া টুডে-এর সঙ্গে শেয়ার করলেন আসল কারণ। তিনি জানান যে, ধনুষ একজন অত্যন্ত কাজপ্রিয় মানুষ। যারাই তাঁকে চেনেন, তাঁরা জানেন যে, ধনুষ অন্য কিছুর থেকেও কাজকে অগ্রাধিকার দিতে বেশি পছন্দ করেন।
"এমনও সময় এসেছে যখন ধনুষ কাজের প্রতিশ্রুতির জন্য এক শহর থেকে অন্য শহরে গিয়েছেন। আউটডোরে ছবির শ্যুটিংয়ের কারণে তিনি পরিবার থেকে দূরে থাকেন। তাঁর এই কাজের চাপ পরিবারকে সহ্য করতে হয়। অতীতেও ধনুষ এবং ঐশ্বর্যার মধ্যে সমস্যা হয়েছে নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে। তিনি নিজের ব্যস্ততার জন্য এসব নিয়ে বেশি ভাবতে পারেন না।"
"ধনুষ নিজের জীবন ব্যক্তিগত রাখতে পছন্দ করেন। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গেও বেশি কিছু নিয়ে আলোচনা করা তাঁর একেবারেই পছন্দ না। তাঁর মনে তা বোঝা মুশকিল। যখনই ধনুষ এবং ঐশ্বর্যার মধ্যে সমস্যা হত আগে, তখনই একটি নতুন ছবির জন্য সই করাটাই তাঁর কাছে ছিল শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত। একটি ব্যর্থ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, ধনুষ বরাবর কাজের পথ বেছে নিতেন।"
"এটি পরিবারের উপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। গত ছয় মাস এই দম্পতির জন্য খুব কঠিন সময় ছিল। ওটিটি-তে নতুন কাজ এবং অন্যান্য প্রোডাকশন ও পরিকল্পনা নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন ধনুষ। এর কারণেই তাঁরা বিচ্ছেদের কথা ভাবছিলেন। অনেকক্ষণ ধরেই এই নিয়ে কথাবার্তা চলছিল।"
সূত্র মারফত আরও জানা গেছে যে, ধনুষ এবং ঐশ্বর্যা যৌথ বিবৃতি জারি করার আগে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেছেন। কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করার আগে ধনুষ 'অতরঙ্গি রে'-এর প্রচার শেষ করতে চেয়েছিলেন। কারণ সেই সময় কোনও সমস্যা হোক তিনি চান নি।
"তাঁর মুখ থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে, তিনি কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। একই সময়ে,ঐশ্বর্যা নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য ফিটনেস, দান এবং নারীর ক্ষমতায়ন বেছে নিয়েছিলেন। দুই ছেলে যাত্রা এবং লিঙ্গকে নিয়ে সে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন।"
"তাঁদের দুই ছেলেই এখন অনেকটা বড় হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, ঐশ্বর্যা এবং ধনুষ চেয়েছিলেন ছেলেদের এই বিচ্ছেদের কথা সঠিকভাবে বলতে। গত কয়েক বছর ধরে তাঁরা দু'জনেই দু'জনকে ব্যক্তিগত স্পেস দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যার ফলে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।"
"দু'জনেই একা থাকতে চেয়েছিলেন। এদিকে সন্তানেরা দু'জনের জন্যই প্রথম অগ্রাধিকার। দু'জনেই কো-পেরেন্টিংয়ে বিশ্বাসী। একে অপরকে কোনও ভাবেই ঘৃণা করেন না তাঁরা। সামাজিক অনুষ্ঠানে সন্তানদের কথা ভেবে, তাঁদের একসঙ্গে দেখা যেতে পারে বিচ্ছেদের পরও।"