সামান্থা রুথ প্রভু (Samantha Ruth Prabhu) তামিলের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী। তিনি তার ক্যারিয়ারেও খুব সফল। চেন্নাইতে জন্মগ্রহণকারী, সামান্থা তেলুগু চলচ্চিত্রে Ye Maaya Chesave দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।
এই ছবিতে তাকে নাগা চৈতন্যের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা গেছে। এই ছবিটি মুক্তি পায় ২০১০ সালে। এই ছবিতে তার অভিনয় এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা নবাগত অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন।
লক্ষ লক্ষ মানুষ সামান্থার মনোরম হাসি এবং সৌন্দর্যে বিস্মিত। সামান্থা একটি নন-ফিল্ম ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন। কেরিয়ারে অনেক সংগ্রাম দেখেছেন তিনি। এই ১২ বছরে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন তার পর নিজের জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
২০১৭ সালে, সামান্থা নাগার্জুনের ছেলে নাগা চৈতন্যকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের চার বছর পর দুজনের বিচ্ছেদ হয়। কী কারণে দুজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে, এই কারণ এখনও জানা যায়নি।
সামান্থা এখন অতীত ভুলে কেরিয়ারে এগিয়ে যাচ্ছেন। নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছেন। আজ ২৮ এপ্রিল তাঁর ৩৫তম জন্মদিন উদযাপন করছেন সামান্থা। এই উপলক্ষ্যে, আমরা আজ আপনাকে বলতে যাচ্ছি কীভাবে সামান্থা ইন্ডাস্ট্রির অংশ হয়েছিলেন।
প্রথম দিকে, সামান্থা আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন সামান্থা। পার্ট টাইম জব করে রোজগার করেন এবং নিজের চাহিদা পূরণ করেন। জনপ্রিয় পরিচালক এবং সিনেমাটোগ্রাফার এম আর রবি বর্মনের নজরে পড়েন সামান্থা।
তিনি সামান্থাকে ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচয় করিয়ে দেন এবং সামান্থা অভিনয় জগতে পা রাখেন। তারপর থেকে, সামান্থা তার জীবনে আর ফিরে তাকাননি। সামান্থা বর্তমান সময়ে অনেক সামাজিক কাজ করেন।
তার নিজের একটি এনজিও আছে, যার নাম প্রত্যুষা সাপোর্ট। এটি শিশু ও মহিলাদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে কাজ করে। সামান্থার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, নাগা চৈতন্যের সঙ্গে ডেটিং এবং বিয়ে করার আগে, তার নাম 'রং দে বাসন্তী' খ্যাত সিদ্ধার্থের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।
দুজনেই আড়াই বছর সম্পর্কে ছিলেন, কিন্তু ২০১৫ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। কারণটা ছিল সিদ্ধার্থের অন্য মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামান্থা জীবনে সিদ্ধার্থের সঙ্গে থিতু হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সিদ্ধার্থের অন্য স্বপ্ন ছিল।