কিংবদন্তি সঙ্গেএতি শিল্পী মান্না দে-র আজ ১ মে ১০২ তম জন্মদিন। ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র আর বেঁচে আছেন তাঁর গানে। এখনও তিনি রয়েছেন দেশবাসী, বিশেষত বাঙালির মনের বিশের স্থানে। জন্মদিনে স্মৃতিচারণ শিল্পীর।
শোনা যায় কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী মহাম্মদ রফি, মান্না দে-র সবচেয়ে বড় অনুরাগী ছিলেন। হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটি, ভোজপুরি, মারাঠি, মৈথিলি,পঞ্জাবি, অসমিয়া, ওড়িয়া, কোঙ্কানি, সিন্ধি,কন্নড়, মালায়ালাম, নেপালি সহ আরও একাধিক ভাষায় তিনি গান গেয়েছেন। মান্না দে তাঁর সঙ্গীত জীবনে প্রায় ৩,৫০০ -র বেশি গান রেকর্ড করেছেন।
১৯১৯ সালের ১ মে মান্না দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কলকাতায়। প্রথমে তাঁর কাকা কৃষ্ণচন্দ্র দে ও পরে ওস্তাদ দাবির খাঁ, উস্তাদ আমান আলি খান এবং উস্তাদ আব্দুল রহমান খানের কাছ থেকে গান শিখেছিলেন তিনি। এরপরে মুম্বই পাড়ি দিয়ে শচিন দেব বর্মণের অধীনে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। এরপর কেরিয়ার শুরু হয় এবং মান্না দে তাঁর শাস্ত্রীয় জ্ঞান এবং কণ্ঠের জাদুতে সকলের মন জয় করেছেন।
অনেকে মনে করেন মান্না দে কেবলমাত্র শাস্ত্রীয় সঙ্গীতই গেয়েছেন। তবে তিনি অনেক মজার গানও গেয়েছেন। অত্যন্ত চাপের সময়ও সেই গানগুলি আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে। আর সেই জন্যেই ভারত সরকার তাঁকে ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মান দিয়েছে৷ আবার ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে রাজ্যের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান 'বঙ্গবিভূষ'-ও প্রদান করেছে। এছাড়া 'দাদাসাহেব ফালকে' পুরস্কার থেকে শুরু করে কী নেই তাঁর ঝুলিতে।
তবে অনেকেরই অজানা মান্না দে-র আসল নাম প্রবোধ চন্দ্র দে এবং ডাক নাম 'মানা'। আর সেই থেকেই তিনি হয়ে উঠে ছিলেন মান্না ৷ যেটি পরবর্তী কালে বিশ্বজোড়া খ্যাতি পায়।
প্রথম জীবনে খেলাধূলাতেও বেশ আগ্রহ ছিল তাঁর৷ কুস্তি, বক্সিংয়ের মতো খেলায় পারদর্শী ছিলেন মান্না দে। এছাড়া ফুটবল খেলাও ছিল তাঁর বিশেষ পছন্দের।
তিনি বাঙালির গর্ব। তাঁর এর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে সর্বকালের সেরা গানগুলি। তবে তার মধ্যে 'কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই' জানেন না এরকম খুব কম বাঙালিই আছে।
২০১৩ সালে ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে মান্না দে ব্যাঙ্গালোরে একটি হাসপাতালের ভর্তি হন। সেই সময়ে তাঁর মৃত্যুর গুজব রটে ৷ পরে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেন যে এটি ভুয়ো খবর।