সঙ্গমকালে তরুণী ভার্যাকে উদ্যমে হারিয়ে দেন 'বৃদ্ধ' মিলিন্দ, বললেন নিজেই

বয়স তাঁর কাছে মাত্র একটা সংখ্যা। পঞ্চাশোর্ধ্ব। অথচ শরীরী বিভঙ্গে তারুণ্যের স্পর্ধা। ওয়াইনের মতোই যত বৃদ্ধ হচ্ছেন তত বাড়ছে তাঁর আবেদন। আর তাই বোধহয় সঙ্গমকালে টেক্কা দিতে পারেন নিজের চেয়ে বয়সে অনেক ছোট স্ত্রীকে। এমনটাই দাবি করলেন মিলিন্দ সোমন। 

বয়স ৫৬। অথচ তাঁর মেদহীন শরীর দেখে ঠাওর করার উপায়। ঠিক যেন খোদাই করা ভাস্কর্য। প্রতিদিন সকালে উঠে ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম ও সুষম খাবারই বয়সকে ধরে রাখার টোটকা বলে জানিয়েছেন মিলিন্দ।

বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মিলিন্দ। সদ্য যে বিতর্ক বলা ভাল কটাক্ষ সইতে হয়েছে তা হল- স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বয়সের বিস্তর ফারাক। মিলিন্দ ৫৬-র তরুণ। আর সহধর্মিনী অঙ্কিতা কোনওয়ার ৩০। ২৬ বছরের তফাৎ দু'জনের। তবে বয়স প্রেমে বাধা হয়নি। 

নেট মাধ্যমে তরুণী ভার্যার সঙ্গে নানা মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নেন মিলিন্দ। তাতে ধরা পড়েছে দম্পতির রসায়ন। মিলিন্দের সঙ্গে ম্যারাথনেও অংশ নিয়েছেন অঙ্কিতা। সদ্য় নেট মাধ্যমে নগ্ন হয়ে তাঁর দৌড় নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। 

কম বয়সি স্ত্রীর সঙ্গে যৌনজীবন নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই। এবার তা নিয়ে আর রাখঢাক রাখলেন না মিলিন্দ। জানিয়ে দিলেন, তারুণ্যে স্ত্রীকেও টেক্কা তিনি।

তিনি নিজেই বলেছেন,''লোকেরা আমার যৌনজীবন নিয়ে উৎসাহী। তবে আমার যৌন উদ্দীপনায় কোনও প্রভাব পড়েনি। সত্যি বলতে আমি নিজেকে অঙ্কিতার মতো ৩০ বয়সি মনে করি। কখনও আরও ছোট।'' 
 

চনমনে তিনি তো বটেই। তবে যৌনজীবনে শরীরের সঙ্গে মনটাও সতেজ রাখা দরকার বলে মনে করেন মিলিন্দ। তাঁর কথায়,'সুস্বাস্থ্য় ও চনমনে মন হলেই যৌনজীবন ভাল হতে পারে। আমার সেটা কখনও কম আছে বলে মনে হয়নি।'

যৌন চাহিদা অটুট রাখতে কসরতের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন মিলিন্দ। তাঁর কথায়,''কসরত মানুষকে নিজের দেহ সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে। তখন শরীর নিয়ে আপনি ভাবেন। সর্বোপরি মনই আসল। মন ঠিক থাকলে শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করে। বয়স যাই হোক না কেন!''