২৬ এপ্রিল অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের ৭৪ তম জন্মদিন। একসময় বাঙালি এই কন্যা বলিউডে তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করে লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন।
একটা সময় মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় দেখার জন্য সবাই অপেক্ষা করে থাকতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অভিনেত্রী পর্দার বাইরে রয়েছেন। তাঁকে আর দেখা যায় না অভিনয় করতে।
টলিউডের পাশাপাশি বলিউডেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। তবে শোনা যায়, অমিতাভ বচ্চন ও রাজেশ খান্নার ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের জোরে মৌসুমী বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
কর্মজগতের প্রতি কোনও দিনই তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেনা। ব্যক্তিগত জীবনই ছিল মৌসুমীর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৬৭ সালে তরুণ মজুমদারের বালিকা বধূ সিনেমায় অভিনয় করে সিনেমা জগতে পা রেখেছিলেন তিনি।
মৌসুমীর তখন নাম ছিল ইন্দিরা চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তী সময় তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মৌসুমী। অভিনয়ের শুরু বাংলা ছবিতে হলেও পরবর্তী সময় বহু হিন্দি ছবিতে দাপিয়ে অভিনয় করেছেন।
বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পুত্র জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। মৌসুমীর দুই মেয়েও রয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে এক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে। ২০১৮ সালে অভিনেত্রীর মেয়ে পায়েল শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। সেই সময় অভিনেত্রী জামাইয়ের বিরুদ্ধে বম্বে আদালতের দ্বারস্থ হন। মেয়ে পায়েলকে চরম অবহেলা ও অযত্নে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন জামাইয়ের বিরুদ্ধে।
মৌসুমীর দুই মেয়ে মেঘনা আর পায়েল ৷ এর মধ্যে পায়েল ছোট থেকেই অসুস্থ ৷ তখনই তাঁর ডায়াবেটিস ধরা পড়েছিল ৷ কিন্তু দিনের পর দিন ঠিক মতো সেবা না হওয়ায় এখন সে বিছানার সঙ্গে প্রায় মিশে গিয়েছেন পায়েল ৷ মৌসুমীর আশঙ্কা, যে কোনও দিন মৃত্যু হতে পারে তাঁর মেয়ের ৷
২০১০ সালে ডিকি সিনহার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পায়েলের ৷ প্রথম থেকেই রুগ্ন ছিলেন পায়েল ৷ বারবার তাঁকে ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালে ৷ চিকিৎসক তাঁকে বলেছিলেন, ফিজিওথেরাপি করাতে ৷ সেই সময় পায়েলের স্বামী তাঁর দেখাশোনার ভার নিলেও পরবর্তীকালে আর ঠিক মতো তাঁর চিকিৎসা করাননি বলে অভিযোগ ৷ ফলে দ্রুত অবস্থার অবনতি হয় মৌসুমী-কন্যার।