ধর্ম নিয়ে আগেও সরব হয়েছেন সোশ্যাল-সেনসেশন উর্ফি জাভেদ। এবার আরও খোলামেলা বক্তব্য তাঁর। সাহসী পোশাক পরে অবতীর্ণ হওয়ায় তাঁকে অনেক সময় কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলি উগ্র ধর্মান্ধদের। এ দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উর্ফি জাভেদের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ভিডিয়োয় কট্টরপন্থীদের নিশানা করেছেন সুন্দরী।
ভিডিয়োর শুরুতেই একটি বিড়ালকে আগলে রেখেছেন উর্ফি। তার পরই উনি বলেন, আমি মুসলিম চরমপন্থীদের নিয়ে বলতে চাই। তখনই তাঁর হাত থেকে বিড়ালটি নীচে নেমে যায়। উর্ফি বলেন,''আমি মুসলিম চরমপন্থীদের নাম নিতেই ও ভয় পেয়ে গেল।''
তিনি বলে চলেন,''চরমপন্থীরা আমার ছবিতে মন্তব্য করে আমি নাকি ইসলামের নামে কলঙ্ক। আমার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা উচিত....'' আপনি জানেন কোরানে কী লেখা রয়েছে? প্রশ্ন উরফির। তিনিই জবাব দিলেন,''কোরানে কোথাও লেখা নেই জোর করে কাউকে পর্দা করাতে হবে। পর্দা না করলে গালিগালাজ দাও। এতটা লজ্জিত করো যে বাধ্য হয়ে পর্দা করতে শুরু করো।''
তন্বীর পরামর্শ,''আপনারা গিয়ে আগে কোরান পড়ুন। পুরুষদের চোখেও যে পর্দা রাখা উচিত, সেটাও লেখা আছে। বিয়ের আগে কোনও মহিলাকে অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে দেখা উচিত নয়। ইনস্টাগ্রামে মহিলাদের দেখে নোংরা মন্তব্য করা হারাম। এগুলি করা যায় না।''
উরফির সংযোজন,''মেয়েরা যখন কম পোশাক পরে রয়েছে তখনও তো আরওই মন্তব্য করা উচিত নয়। খারাপ কাজ করছেন আপনারা। আর ইসলামের বিধি হাজার বছর আগে তৈরি হয়েছে।''
বহুবিবাহ নিয়ে বিগ বসের প্রাক্তন প্রতিযোগীর ব্যাখ্যা, তখন মহিলাদের কোনও অধিকার ছিল না। ইসলামে চার বিবাহ এজন্যেও ছিল যে তখন মহিলাদের স্বামীর মৃত্যু হলে ধর্ষণের শিকার হতে হত। তাই মহিলাদের সম্মান বাঁচাতে চার বিবাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
হাজার বছর কেটে গিয়েছে। আপনাদের কি মনে হয় আমি শোষিত মুসলিম মহিলা? না। আমি আপনার সাহায্য চাইছি না। পরামর্শও নয়। আমি কী ধরনের কাপড় পরবো সেটা নিয়ে জ্ঞান দিতে আসবেন না- অকপট উর্ফি।
এই ভিডিয়োয় উর্ফি ঘোষণা করেছেন তিনি ইসলাম মানেন না। কোনও ধর্মেই বিশ্বাস নেই তাঁর। তিনি নাস্তিক। মানুষের মঙ্গল করাতেই তাঁর আস্থা।