টলিউডে ফের কোভিড হানা! আক্রান্ত ভরত কল ও তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী

ফের করোনার হানা বাংলা বিনোদন জগতে। এবার আক্রান্ত অভিনেতা ভরত কল (Bharat Kaul) ও তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী মুখার্জী (Jayashree Mukherjee)। সোমবার সামাজিক মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেতা। আপাতত সুস্থ রয়েছেন তাঁর মা ও মেয়ে।

সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করে ভরত জানান যে তিনি কোভিডে আক্রান্ত। অভিনেতা লেখেন, "আমি এবং আমার স্ত্রী জয়শ্রী মুখার্জী কোভিড পজিটিভ। আশা করি আমরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবো। আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন।"

জ্বর ও গায়ে ব্যথা রয়েছে তাঁদের। তবে এখনও পর্যন্ত স্বাদ- গন্ধহীন হয়নি তাঁরা। জ্বর হওয়ার পর বারবার ওষুধ খেয়ে সাময়িক সেরে গেলেও ফের জ্বর আসছিল ভরত- অনুশ্রীর। এরপরই পরীক্ষা করে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বেশ কিছু বছর আগে মুম্বই থাকাকালীন ভরত কলের ক্রনিক মাইলয়েড লিউকেমিয়া ধরা পড়েছিল। অর্থাৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু যেহেতু কো-কর্বিডিটি রয়েছে, তাই কিছুটা চিন্তিত রয়েছেন বাড়ির সকলে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সব কিছু মেনে চলছেন তাঁরা।

এই মুহূর্তে 'দেশের মাটি', 'শ্রীময়ী' ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন ভরত কল। কিছুদিন আগেই সক্রিয়ভাবে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। অন্যদিকে জয়শ্রী 'খড়কুটো' ও 'মোহর'-এ অভিনয় করছেন। একই সিরিয়ালে অভিনেত্রীর জায়ের ভূমিকায় দেখা যায় ভরত কলের প্রাক্তন স্ত্রী অনুশ্রী দাসকেও। 

আরও পড়ুন: ওয়ার্ক আউট ব্রা- টাইটসে হোলিতে গোমুখাসন শেখালেন ফিটনেস ফ্রিক মালাইকা 

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকলেও আনলক পর্বে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ধীরে ধীরে কাজ শুরু হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু টলিপাড়ার একের পর এক কোভিড আক্রান্তের খবর মিলেছে। গত ১৫ নভেম্বর বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত। তাঁর মৃত্যু শেষ পর্যন্ত অন্য শারীরিক কারণে হলেও  প্রাথমিকভাবে অক্টোবরের শুরুতে কোভিডে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো 'সা রে গা মা পা' - এর ৪ বিচারক মনোময় ভট্টাচার্য, শ্রীকান্ত আচার্য, আকৃতি কক্কর, মিকা সিং ও আবির চট্টোপাধ্যায়ও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। শুধু তাই নয় অপরাজিতা আঢ্য, নীল ভট্টাচার্য, বিভান ঘোষ, দেবজানি চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, শন বন্দোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও আক্রান্ত হয়েছিলেন কোভিডে। তবে আক্রান্ত হওয়ার কিছুদিন পরে তাঁরা সুস্থ হয়ে ওঠেন।