scorecardresearch
 

Bidisha Dey Majumdar: মানসিক অবসাদেই আত্মঘাতী বিদিশা? অভিনেত্রী-মৃত্যুতে বাড়ছে রহস্য

বিদিশা আত্মহত্যা করেছেন নাকি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ দিন কয়েক আগেই পল্লবীর মৃত্য়ু নিযে ফেবসবুক পোস্ট করেছিলেন তিনি। জানা যাচ্ছে, বুধবার ভোর পর্যন্ত বিদিশার হোয়াটসঅ্যাপে অনলাইন ছিলেন। তার পর আর ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে অনলাইন দেখা যায়নি তাঁকে।

Advertisement
মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বিদিশা! মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বিদিশা!
হাইলাইটস
  • মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বিদিশা!
  • কারণ কী?
  • দানা বাঁধছে রহস্য

বেশিদিন নয়, গত ১৫ মে টেলি সিরিয়ালের অভিনেত্রী পল্লবী দের  ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় দক্ষিণ কলকাতার গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরের ফ্ল্যাট থেকে। কী ভাবে মৃত্যু হল পল্লবীর তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। এর মাঝেই শহরের এক উঠতি মডেলের দেহ মিলল  নাগেরবাজারের রামগড় কলোনির বাড়ি থেকে। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে ২১ বছর বয়সি মডেল বিদিশা দে মজুমদারের দেহ। বিদিশা আত্মহত্যা করেছেন নাকি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ দিন কয়েক আগেই পল্লবীর মৃত্য়ু নিযে ফেবসবুক পোস্ট করেছিলেন তিনি।পল্লবীর মৃত্যুর পরেই ফেসবুকে তাঁর ছবি শেয়ার করে  বিদিশা লিখেছিলেন, ‘মানে কী এ সব’।   তিনি এ-ও লিখেছিলেন, ‘মেনে নিতে পারলাম না’। ওই ঘটনার ১০ দিনের মধ্যেই নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিয়ে তাই ইতিমধ্যে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। 

 

বিদিশার দেহ ময়না তদন্ত পাঠান হয়েছে। জানা যাচ্ছে পল্লবীর মতই বিদিশও মফস্বলের মেয়ে। তাঁর আদত বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার  নৈহাটিতে।  মাস দেড়েক ধরে  নাগেরবাজারের রামগড় কলোনিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ছিলেন তিনি। রুমমেট ও বন্ধুদের দাবি, বুধবার সন্ধে নাগাদ সেই ফ্ল্যাটেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত অভিনেত্রীর এক বান্ধবী জানিয়েছেন, ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না বিদিশাকে। বাড়িওয়ালাকে জানাতে তিনিই খোঁজ নিতে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। বিদিশার আরও এক বান্ধবীর থেকে চা়ঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। মাঝেমধ্যে নাকি  সম্পর্ক নিয়ে অবসাদের কথা বলতেন ২১ বছরের মেয়েটি সম্পর্ক ভাঙার কথা, আত্মহত্যার কথা শোনা গিয়েছিল বিদিশার মুখে। ডিপ্রেসনে ভুগছিলেন বিদিশা, এমনটাই দাবি করছেন তাঁর  বান্ধবীরা। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, বুধবার ভোর পর্যন্ত বিদিশার হোয়াটসঅ্যাপে অনলাইন ছিলেন।  তার পর আর ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে অনলাইন দেখা যায়নি তাঁকে। কাজ না থাকলে সাধারণত বেলা করেই ঘুম থেকে উঠতেন তিনি। তাই কেউ কোনও সন্দেহ করেননি। কিন্তু বেলা বেড়ে বিকেল হয়ে গেলেও বিদিশার কোনওরকম সাড়াশব্দ না মেলায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিচিতরা। মঙ্গলবার রাতে শেষবার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল বিদিশার। সেদিন রুমমেটকে নিয়ে পার্লারেও জান তিনি। তারপর হঠাৎ কী হল তা নিয়েই সন্দেহ দানা বাঁধছে। 

বিদিশার মৃত্যুর সময় তাঁর ফোন বন্ধ ছিল না বলেই পরিচিতদের সূত্রে জানা যাচ্ছে। সেদিন মাও তাঁকে অনেকবার ফোন করেন। কিন্তু মেয়ে আর ফোন তোলেনি। বিদিশার ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন ৪-৫ বছর ধরে মডেলিং করতেন তিনি। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম জুড়ে সেই ছবি রয়েছে। বিদিশার প্রেমিকের কথাও উঠে আসছে। তাঁর নাম অনুভব বেরা। অনুভবের সঙ্গে নাকি বিদিশার প্রায়ই বচসা লেগে থাকতো। পেশায় জিম ট্রেনার অনুভব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গেও বিদিশার মৃত্যু নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছে তদন্তাকারী আধিকারিকরা।  পুলিশ সূত্রে খবর, এর আগেও দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন মডেল বিদিশা দে মজুমদার। কিন্তু বান্ধবী এবং সহকর্মীদের বাঁধার মুখে পড়ে তিনি আর সেই কাজ করতে পারেননি। 

Advertisement