ইন্টারনেটের দৌলতে অনেকে রাতারাতি 'স্টার' হয়েছে। অনেকে আজও জনপ্রিয়। আবার অনেকে লাইমলাইট থেকে বহু দূরে। কেউ খ্যাতি পেয়েছেন, কেউ খ্যাতি সামলাতে পারেননি। গত প্রায় তিন বছর ধরে নেটিজেনদের টাইমলাইনে বিরাজ করছেন নন্দিনী দিদি। এই নামেই তাঁকে সকলে চেনেন। অনেক আবার আবদার করে ডাকেন স্মার্ট দিদি বলে। কথা ছিল ২০২৩ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি। আইনী বিয়ে সারলেও সামাজিক বিয়ে হয়নি এতদিন। তবে এবার গাঁটছড়া বাঁধলেন পাইস হোটেলের সেই জনপ্রিয় নন্দিনী।
সিঁথি ভর্তি সিঁদুর, হাতে শাঁখা- পলা- চুড়ি, কনুই অবধি এখনও রয়েছে মেহেন্দি। দেখেই যাচ্ছে নববধূ নন্দিনী। নয়া অবতারে হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের সামনে হাজির হলেন তিনি। তাঁকে দেখা মাত্রই ধেয়ে এল প্রশ্নবাণ। কবে বিয়ে হল? ধীরে ধীরে লাইভ ভিডিওতে সব কিছুই খোলসা করলেন তিনি। এমনকী সামনে আনলেন স্বামীকেও।
নন্দিনী জানান, "এই তো হল, তাড়াহুড়ো করেই হল। অনেকেই যারা আমাকে চেনেন, জানেন যে আমি দীর্ঘদিন ধরেই একটা সম্পর্কে ছিলাম। আর ফাইনালি একটা সোশ্যাল ম্যারেজে আমি আবদ্ধ হলাম। বলতে একটা কেমন লাগে….। দোলের দিন যেদিন সকলে রং খেলছিলেন, আমি সেদিন সিঁদুর খেলেছি। সেদিনই এতদিন ধরে ওয়েট করা দিনটা আমার লাইফে এসেছে। ধন্যবাদ তাদের সকলকে যারা আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন। আরও অনেকেই চাইত, বলত বিয়ে করো দিদি, কবে বিয়ে করবে...।"
নন্দিনী আরও বলেন, এদিনই তিনি শ্যামসুন্দরী মায়ের মন্দিরে গিয়েছিলেন। ভিডিওতে নন্দিনী দিদিকে অনেকেই নববিবাহিত জীবনের শুভেচ্ছা জানান। শুধু তাই নয়, তাঁর নতুন লুকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
২০২৩-র শেষ দিকেই রুদ্র দাসের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা সামনে এনেছিলেন নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায় অর্থাৎ সকলের প্রিয় নন্দিনী দিদি। এরপর গত বছরের শুরুতেই আইনী বিয়ে সেরে ফেলেন তাঁরা। যদিও তিনি বহু ভিডিওতে আগেই জানিয়েছিলেন যে, শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন তিনি। তবে নিয়মিত বাবার বাড়িতেও যাতায়াত করেন। নন্দিনীর বরের নাম রুদ্র দাস। এবার দোলযাত্রার শুভ দিনে চার হাত এক হল।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণভাবে জনপ্রিয় ডালহৌসির অফিস পাড়ার নন্দিনী দিদি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রাতারাতি জনপ্রিয় হন তিনি। যদিও তাঁর সংগ্রামের কথা সকলেই জানেন। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করে বেঙ্গালুরুতে চাকরি করতেন। কোভিডের পরে, সব ছেড়ে বাবার ভাতের হোটেলে সাহায্য করেন তিনি। এরপরই অফিস পাড়ার জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বর্তমানে রাজারহাটে হোটেল রয়েছে তাঁর। সেখানেও রোজই হাজির হন ভ্লগারটা।