Pallavi Dey Death Mystery: 'সব জেনেও বন্ধুর ঘর ভেঙেছেন পল্লবীই', বিস্ফোরক সাগ্নিকের স্ত্রী সুকন্যা

বন্ধুর সংসার ভেঙেছিলেন পল্লবী দে-ই। সাগ্নিক বিবাহিত জেনেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। অভিনেত্রীর মা-বাবার অভিযোগ খারিজ করে জানিয়ে দিলেন সাগ্নিকের স্ত্রী সুকন্যা। তাঁর বক্তব্য,পল্লবী তাঁর বন্ধুই ছিলেন। সব জেনেশুনেই বন্ধুর স্বামীর কাছাকাছি এসেছিলেন। পল্লবীর কারণেই বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। প্রয়াত অভিনেত্রীর চরিত্রও ভাল ছিল না।       

সাগ্নিক বিবাহিত। এটা পল্লবীর কাছে গোপন করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর মা-বাবা। তাঁরা দাবি করেছিলেন, সাগ্নিক নিজের বিবাহিত পরিচয় লুকিয়ে পল্লবীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। পরে জানিয়েছিলেন, ডিভোর্সের মামলা করেছেন। কিন্তু সাগ্নিকের স্ত্রী সুকন্যা বলেন,'পল্লবী আমার বন্ধু ছিল। ঐন্দ্রিলাকেও ১০-১২ বছর ধরে চিনি। সাগ্নিকের সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিয়েতে সাক্ষী হওয়ার কথা ছিল পল্লবীর। বিয়ের নোটিসে নামও ছিল।' সুকন্যার দাবি, সাগ্নিক ও তাঁর বিয়ের কথা জানার পরও পল্লবী ঘর ভেঙেছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে সাগ্নিকের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। সেটা জানতে পেরে সুকন্যা সরে আসেন।

তিনি জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে সাগ্নিকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। সেটা জানতেন পল্লবী। তা সত্ত্বেও বন্ধুর বরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাই নিজে থেকে সরে এসেছিলেন। সাগ্নিক তো বটেই পল্লবীও তাঁর বিশ্বাস ভেঙেছে বলে আক্ষেপ করেছেন সুকন্যা।            

পল্লবীর টাকায় গাড়ি-বাড়ি কিনেছিলেন সাগ্নিক। এই অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রীর মা-বাবা। তবে পল্লবীদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না বলে দাবি সুকন্যা। বরং তাঁর বক্তব্য, সাগ্নিকের টাকাপয়সা দেখেই সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন পল্লবী। বরং পল্লবীর সংসারের খরচ দিতেন সাগ্নিকই। পল্লবীর বাবার ঝালমুড়ির দোকান। ভাইও তেমন কিছু করেন না। পল্লবীর উপার্জনে দামি গাড়ি উপহার দেওয়া সম্ভব ছিল না। সাগ্নিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। সাগ্নিক নিজেই সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। ওঁর টাকার দরকার নেই। আর সাগ্নিক কাউকে মেরে ফেলতে পারে না। 

আরও পড়ুন- শ্যুটে ছিল পল্লবী, সাগ্নিকের রক্তবমি হওয়ায় ফ্ল্যাটে ছিলাম: ঐন্দ্রিলা