scorecardresearch
 

চা বাগানের বদলে যাওয়া ছবির গল্প 'কাহানি করোনা কি'

বদলে যাওয়া জীবন এবং চা-বাগানে তার প্রভাব গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে এক বাগান কর্মীর মধ্যেও। ডুয়ার্সের নাগরাকাটা চা বাগানের লেবার ওয়েলফেয়ার অফিসার অশোক ঝা বদলে যাওয়া চা-বাগানের রীতিনীতি, আচার-পদ্ধতি নিয়ে তৈরি করেছেন আধ ঘন্টার শর্ট ফিল্ম 'কাহানি করোনা কি'।

Advertisement
কাহানি করোনা কি-র দৃশ্য বোঝাচ্ছেন পরিচালক কাহানি করোনা কি-র দৃশ্য বোঝাচ্ছেন পরিচালক
হাইলাইটস
  • নিউ নরম্যালই ভবিষ্যত ছবির বিষয়
  • করোনায় জীবনের বদল ধরা হয়েছে ছবিতে
  • অশোক ঝা-এর ছবি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু

করোনায় বদলে যাওয়া জীবনই উপজীব্য

করোনায় বদলে গিয়েছে জীবন। বদলে গিয়েছে আচার-আচরণ, মানুষের সঙ্গে ব্যবহার। একে অপরের প্রতি মানুষের যোগাযোগও। গোটা বিশ্বের এই প্রভাব পড়েছে চা বাগানেও। কখনও পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে, কখনও স্যানিটাইজার দিয়ে সাফ-সাফাই করে তারপর কাজে নামতে হচ্ছে। কখনও আবার করোনা বিধি মানতে গিয়ে কাজের গতি শ্লথ হয়ে আসছে। সব মিলিয়ে নতুন পদ্ধতি ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে এখনোও সকলে লড়াই করছেন। আবার কেউ কেউ দ্রুত মানিয়ে নিয়ে তড়িদ্গতিতে নিজের দায়িত্ব পালন করছেন।

পরিচালক অশোক ঝা

বদলে যাওয়া জীবন এবং চা-বাগানে তার প্রভাব গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে এক বাগান কর্মীর মধ্যেও। ডুয়ার্সের নাগরাকাটা চা বাগানের লেবার ওয়েলফেয়ার অফিসার অশোক ঝা বদলে যাওয়া চা-বাগানের রীতিনীতি, আচার-পদ্ধতি নিয়ে আধঘন্টার শর্ট ফিল্ম তৈরি করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। সোশ্যাল সাইট থেকে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন তার সেই ফিল্ম চর্চার কেন্দ্রবিন্দু।

কাহানি করোনা কি

সিনেমার নাম দিয়েছেন কাহানি করোনা কি। ছবির পূর্ণদৈর্ঘ্য ২৭ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডে পরিকল্পনা নির্দেশনা ও রূপায়নে অশোকবাবু নিজেই। আর এই সিনেমার কুশীলব থেকে অভিনেতা অভিনেত্রী সকলেই চা-বাগানের কর্মীরাই। 

কি কি রয়েছে কাহানি-তে

করোনার প্রাদুর্ভাব এর আগে চা বাগানের পরিবেশ কেমন ছিল, এখন কেমন আছে, শুধু সেটা তুলে ধরাই নয়, করোনা উত্তর জীবন কিভাবে কাটাতে হবে, সচেতনতা মেনে চলা উচিত কতটা, সমস্ত কিছু মিলিয়ে এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। আপাতত কোথাও মুক্তি বা বড় স্ক্রিনে দেখানো হয়নি। করোনা বিধি মেনে লকডাউনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা চা বাগানে দেখানো হবে।

পরিচালকের বক্তব্য

করোনার আগে ও পরের যে ফারাক, সেটাই ধরার চেষ্টা করেছি ছবিতে। পাশাপাশি এটাই যে ভবিতব্য, এই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শেষের অপেক্ষা না করে বরং এটাকেই জীবনের সঙ্গী করে নিতে হবে, তা বলা রয়েছে ছবির পরতে পরতে। 

Advertisement

ফিল্ম মেকিং ও বার্তা

দল বেঁধে হইহই করে কাজের গতি এই মুহূর্তে চা-বাগানে অনুপস্থিত। তার বদলে সতর্কতা এবং আশঙ্কিত চিত্র ধরা পড়েছে তাঁর ক্যামেরায়। নিউ নরমালই যে ভবিতব্য, সেটির বার্তা দেওয়া রয়েছে এই সিনেমায়। সিনেমার বিষয়ে অভিনবত্ব থাকলেও আসলে রোজকার রোজ নামচা নিয়েই সিনেমার দৃশ্যায়ন কথা হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই শুধুমাত্র বার্তা এবং সচেতনতা প্রচারই নয়, ফিল্ম মেকিং এর ক্ষেত্রেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ছবি তৈরির পিছনে যাঁরা

মূল পরিকল্পনা ও নির্দেশনা অশোক ঝা। প্রযোজক চন্দ্রদীপ সুব্বা, সহকারী পরিচালক অভিষেক প্রধান, চিত্রনাট্য যোগেশ গুরুং, সুরকার রাজ লামা এবং গায়কও অশোকবাবু নিজেই।

 

Advertisement