
টলিপাড়ার চেনা মুখ রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দা সবেতেই তাঁর আধিপত্য। তাঁর অভিনয় দর্শকদের কাছে প্রশংসিত। রাজ চক্রবর্তীর চিরদিনই তুমি যে আমার ছবির মাধ্যমে রাহুল সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বয়সও খুবই অল্প। কিন্তু এরই মাঝে তাঁর সঙ্গে ঘটে গেল এত বড় অঘটন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট হতেই শোরগোল পড়ে যায় নেট পাড়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রাহুলের একটি সাদা কালো চোখে চশমা পরা ছবি ভাইরাল। যে ছবিতে লেখা রয়েছে ২৯তম প্রয়াণ বার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ। এইটুকু দেখার পর অনেকেই মনে করে নিয়েছেন যে রাহুলই মারা গিয়েছেন। কিন্তু এরপরই ছবির নীচে চোখ গেলেই বুঝতে পারবেন যে আসলে এটা রাহুলকে নিয়ে নয়, অভিনেতা অনিল চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবসের শ্রদ্ধার্ঘ। ছবির নীচে লেখা, চলচ্চিত্র অভিনেতা অনিল চট্টোপাধ্যায়, প্রয়াণ: ১৭ মার্চ ১৯৯৬। আসলে অভিনেতা অনিল চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবসে কেউ এই ছবিটি তৈরি করেছে। কিন্তু সেখানে তাঁর ছবি ব্যবহার না করে রাহুলের একটি পুরনো ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে অভিনেতার মুখের আদলের সঙ্গে মিল রয়েছে অনিল চট্টোপাধ্যায়ের।
রাহুল নিজেও তাঁর ফেসবুকে এই ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ইয়ে বলছিলাম, অনিল চট্টোপাধ্যায়ের এতটা অসম্মান কি প্রাপ্য??? রাহুলের এই পোস্টে অনেক নেটিজনেই কমেন্ট করেছেন। একজন লিখেছেন, শিক্ষার অভাব। আবার অনেকে লিখেছেন, আমি হঠাৎ করে প্রয়াণ আর ছবিটা একসাথে দেখে ছ্যাৎ করে বুকে লেগেছিল। এই পোস্টে কবি শ্রীজাত লেখেন, তুমি তো মেঘে ঢাকা তারা-য় ছিলে। ঠিকই আছে। কেউ আবার লেখেন, প্রথমত তো বুকটা ছ্যাঁত করে উঠলো!!! তারপর পুরো পোস্টটা দেখে বুকে জল ফিরে এলো। আসলে অনিল বাবুর অল্প বয়সের সাথে মুখের অনেকাংশে মিল আছে কিনা তাই হয়তো এই অবাঞ্ছিত ভুল।
আসলে রাহুলের মুখের সঙ্গে সত্যিই অনিল চট্টোপাধ্যায়ের অল্প বয়সের মুখের মিল পাওয়া যায়। আর সে কারণেই হয়ত এই ভুল হয়ে গেছে। যদিও এটাকে রাহুল ভুল নয়, বরং এরকম মাপের এক অভিনেতার অসম্মান বলেই মনে করছেন। প্রসঙ্গত, রাহুল এই রূপোলি পর্দা থেকে দূরেই রয়েছেন। সহজ কথা বলে পডকাস্ট করেন অভিনেতা। যেখানে তাঁকে তারকাদের সঙ্গে আড্ডা মারতে দেখা যায়।