শেষ দেখা গিয়েছিল যমুনা ঢাকী-তে শাশুড়ির চরিত্রে। এরপর টেলিভিশন থেকে পাকাপাকিভাবে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন টেলিভিশন ও টলিউডের পরিচিত মুখ দেবযানী চট্টোপাধ্যায়। এবার শুধুই মনোযোগ সিনেমা ও ওটিটিতে। গত ৭-৮ মাস ধরে টেলিভিশনের বাইরে, যাতায়াত বেড়েছে মুম্বইতেও। ডেবিউ করছেন ওটিটিতে। নিজের প্রিন্সিপালে অটুট দেবযানী চট্টোপাধ্যায় ব্যস্ততা বেড়েছে। তবে তার মধ্যেই bangla.aajtak.in-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন অনেক কথাই।
নন্দিনী সিরিজটা করছ, তোমার চরিত্রটা একটু বলবে?
দেবযানী: আমি এই ওয়েব সিরিজে ঋতাভরীর শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করছি ঠিকই। তবে চরিত্রটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখলেই বোঝা যাবে। গল্পটা আসলে এঁনার ওপরও কিছুটা নির্ভরশীল। পুরোটা এখন বলতে পারছি না, একটু সাসপেন্স থাক। তবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র এবং শেষে গিয়ে বোঝা যাবে যে শাশুড়ির চরিত্রটাই আসলে প্রধান।
ওটিটিতে এটা প্রথম কাজ কেমন লাগছে?
দেবযানী: খুবই ভালো লাগছে। কারণ আমি এখন আর টেলিভিশনে কাজ করছি না। আর আমার এটাই ইচ্ছা ছিল যে আমি ফিল্ম ও ওটিটিতে কাজ করব। এই স্বপ্নটা সত্যি হয়েছে। আমি সব রকম মাধ্যমেই কাজ করেছি। ওটিটিতেও কাজ করতে চলেছি। দারুণভাবে এক্সাইটেড। খুব খুশিও আমি।
টেলিভিনে কেন কাজ করতে চাইছ না?
দেবযানী: প্রথমত অনেক বছর হয়ে গেল টেলিভিশনে কাজ করছি। আর যে সব চরিত্রে কাজ করছি সেগুলো খুব একঘেঁয়ে লাগছিল। নতুন কিছু করতে পারছিলাম না। গত ৯ বছর ধরে শাশুড়ির চরিত্র করে করে আমি ক্লান্ত। সিরিয়ালের কনটেন্টগুলো আমার ভালো লাগছিল না। আমি যেটা করে মজা পাই না সেটা করতে ভালো লাগে না। আর এখন আমাদের বয়সের যাঁরা তাঁদেরকে ওই শাশুড়ির দলেই ফেলে দেয়, আমি অনেক শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করেছি তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আর টেলিভিশনে শাশুড়ির চরিত্র করব না। যদিও এই ওয়েব সিরিজেও আমার চরিত্র শাশুড়ির তবে এখানে তাঁর চরিত্রের গুরুত্ব রয়েছে।
যে কোনও নতুন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত কর তুমি?
দেবযানী: আমার কোনও প্রসেস নেই। আগে থেকে কোনও প্রস্তুতি নিই না। পরিচালকের থেকে চরিত্রটা শুনে নিই তারপর আলোচনা করে নিয়ে নিজেকে সেভাবে পরিবেশন করি। একমাস ধরে কোনও চরিত্র নিয়ে প্রস্তুত হওয়া আমার কোনওকালেই ছিল না। ডায়লগ মুখস্থ করে ফ্লোরে গিয়ে সেটা বলা আমি পছন্দ করি না, ভেতর থেকে যেটা আসে সেটাই করি। পরিস্থিতি যেটা চায় আমি সেভাবেই নিজেকে মেলে ধরি।
জড়োয়ার ঝুমকো-তে গিনি রায়, যা আজও সমানভাবে জনপ্রিয় আবার যমুনা ঢাকিতে স্নেহময়ী শাশুড়ি, দুটো চরিত্র একে অপরেরথেকে আলাদা, তোমার কোনটা প্রিয় আর কেন?
দেবযানী: গিনি রায় আমার খুব প্রিয়। গিনি রায়ের চরিত্রের মধ্যে অনেক শেড ছিল। মুখ্য একটা চরিত্র ছিল। জড়োয়ার ঝুমকো বলতে সবাই গিনি রায় বুঝত। জড়োয়ার ঝুমকো নিয়ে কেউ বেশি আলোচনা করতা না যতটা গিনি রায়কে নিয়ে করত। চরিত্রটা সেই জায়গায় পৌঁছেছিল আর কী। গিনি রায়ের নিজস্ব গল্পও ছিল কেন সে এরকম হয়েছে। জন্ম থেকে তো কেউ এরকম হয় না। পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে গিনি রায়ের আলাদা একটা গল্প ছিল। অনেক দৃশ্য ছিল সেখানে। স্নেহাশিষ দা আমায় ব্যবহারও করেছিলেন অনেকরকমভাবে, গান, নাচের সিকোয়েন্স ছিল। যমুনা ঢাকিতে প্রচুর ডান্স সিকোয়েন্স ছিল আমার আর শ্বেতার (শ্বেতা ভট্টাচার্য)। স্নেহাশিষ দা আমার ক্রিয়েটিভিটিকে অনেকভাবে কাজে লাগিয়েছে। তাই গিনি রায় আমার প্রিয় চরিত্র।
নেগেটিভ চরিত্রের অফার কী বেশি আসে?
দেবযানী: টেলিভিশনে তো তাই আসত। ত্রিনয়নী-তে আমার শেষ নেগেটিভ চরিত্র। তারপর আমি ঠিকই করি যে আমি আর নেগেটিভ চরিত্র করব না। যে সময় যমুনা ঢাকি চ্যানেলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসে, ফোন করে যখন বলা হয় তখন আমি বলেই দিই যে নেগেটিভ চরিত্র করব না, আমায় বলা হয় এটা পজিটিভ চরিত্র। তখন আমি করতে রাজি হই। নন্দিনী সিরিজ করার অন্যতম কারণ হল শাশুড়ির চরিত্র হলেও এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং তাঁর নিজস্ব একটা গল্প রয়েছে।
বর্তমানে সিরিয়ালগুলোতে গল্পের গরু গাছে ওঠে অথবা সাংসারিক কূটকচালিতে ভর্তি, এটাকে কীভাবে দেখো, দর্শক কী এগুলো পছন্দ করে?
দেবযানী: একদম ভালোভাবে দেখছি না. আর দেখছি না বলেই তো সিরিয়াল ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। সাংসারিক কূটকচালি আর সংসারের বাইরে যে একটা পৃথিবী আছে সেটা টেলিভিশন ভুলে গিয়েছে। কেন হচ্ছে সেটা তো চ্যানেল বলবে, কারণ ওদের নাকি একটা রিসার্চ আছে। সেই রিসার্চ বলছে মানুষ নাকি এটা দেখতে চায় আর মানুষ যদি দেখতে চান তাহলে তো অভিযোগ করে লাভ নেই। আমার কথা হল যাঁরা টেলিভিশনে লিখছেন তাঁরা যে অন্য কিছু লিখতে পারেন না এমনটা তো নয়। তাঁদেরও বলে দেওয়া হচ্ছে কী তাঁরা লিখবেন, চ্যানেলের কী চাহিদা, ডিমান্ড অফ দ্য অডিয়েন্স, তাঁরা সেই অনুযায়ী লিখছেন। আমি এটা মানতে একেবারেই রাজি নই যে তাঁরা অন্য কিছু লিখতে পারেন না। গত দশ বছর ধরে এটা ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে, আজকে ২০২৩-এ দাঁড়িয়ে সমাজ কোথায় এগিয়ে গিয়েছে, দুনিয়া কোথায় এগিয়ে গিয়েছে, সেদিন একটা সিরিয়ালে এক শাশুড়িকে বলকে শুনলাম যে ছেলেকে বলছে তুমি বেছে নাও তোমার বউ আগে না মা আগে। এগুলো বহু যুগ আগে আমাদের মা-ঠাকুমাদের বলতে শুনতাম। ২০২৩-এ দাঁড়িয়ে এটা আমার হাস্যকর লাগে। আমি এই চিন্তা-ভাবনাগুলির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সংযোগ করতে পারি না। আমার কোথাও একটা দ্বন্দ্ব হচ্ছিল, আমি যমুনা ঢাকির কথা বলছি না। কারণ আমি জানি এই সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমাকে আবারও এরকম কিছু একটা অফার দেওয়া হবে। দুনিয়াটা চার দেওয়ালের মধ্যে টেলিভিশনে তার বাইরে নয়। তার বাইরে অনেক জগৎ আছে, আরও গল্প আছে বলার। সিরিয়ালে দেখানো হয় নায়িকারা কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার সাংঘাতিক সব করার পর একমাস পর বিয়ে হয়ে যায়। আর বিয়ের দৃশ্য করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। এরপর বিয়ে করে বউমাকে সংসারে ঢুকিয়ে নেওয়ার পর শুরু হয়ে গেল সাংসারিক কূটকচালি। আমি তো টেলিভিশন আগেও দেখতাম না এখনও দেখতাম না, সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই জানতে পারি। আমার তো মনে হয় যাঁরা পুরুষ অভিনেতা, পুরুষ মানুষ তো বাংলা টেলিভিশনে অস্তিত্বহীন। সব দাঁড়িয়ে থাকে শোপিসের মতো। সব মহিলারা বলে যাচ্ছে। নায়িকারা তো সবই করছে, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিলই নেই। সমাজে বোধহয় ছেলেদের অস্তিত্বই নেই আজকাল। শুধু মহিলারাই সমাজ চালাচ্ছে। এটা কিন্তু ফেমিনিজম নয়, খুব বোকা বোকা জিনিস। আমায় যতটা মানুষ চিনেছে টেলিভিশনের জন্য চিনেছে, আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আমার কনটেন্ট পছন্দ নয় আজকালকার। ২০২৩-এ দাঁড়িয়ে আর সেই ডায়ালগ বলতে চাইছি না। কনটেন্ট নিয়ে খুবই আপত্তি আছে। যাঁরা বদল করতে পারেন তাঁদের চিন্তাভাবনা করা উচিত। তবে ওটিটির কনটেন্ট এখন যে জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে সেখানে টেলিভিশন কতদিন তার দর্শক ধরে রাখতে পারবেন সন্দেহ আছে। টিআরপি এখন অনেক পড়ে গিয়েছে সেটা দেখাই যাচ্ছে।
নাটক, সিরিয়াল, সিনেমা, ওটিটি— চারটে মাধ্যমেই কাজ করলে। কোনটা তোমার সবচেয়ে পছন্দের?
দেবযানী: সিনেমা। সিনেমা করতেই আমার সবচেয়ে বেশি ভালোলাগে। বড়পর্দা সবসময়ই আমায় আকর্ষণ করে, বড়পর্দায় নিজেকে দেখার আনন্দটাই আলাদা।
এত পরিচিত মুখ হওয়া সত্ত্বেও সেভাবে সিনেমায় কেন দেখা যায় না দেবযানী চট্টোপাধ্যায়কে?
দেবযানী: সত্যি কথা বলতে কী এই উত্তরটা আমার কাছে নেই, বহু মানুষ আমায় একই প্রশ্ন করে। একটা বড় কারণ হলো আমি টেলিভিশনে প্রচণ্ড ব্যস্ত ছিলাম। এটা অস্বীকার করে লাভ নেই। সিনেমাটাকে তখন আমি সিরিয়াসলি নিই নি। কারণ যখন আমরা শুরু করেছিলাম, তখন এত ভালো কাজ হত টেলিভিশনে, সিনেমার প্রতি সেই ক্ষিদেটা ছিল না। আমি কথা বলছি ২০০৩-০৪ সালের। টেলিভিশনে আমি অনেকটা সময় দিয়েছি, টুকটাক যে রকম সিনেমায় চরিত্রে এসেছে, ভালো লাগলে করেছি। তার মধ্যে ধরো অরিন্দমদার ২টো ছবি তীরন্দাজ, দুর্গা সহায় করেছি, অর্জুন দত্তের গুলদস্তা করেছি। তবে যতটা করার কথা ততটা করিনি। কারণ আমি সময়টাও দিতে পারিনি। তখন সিনেমা নিয়ে এত গুরুত্ব দিয়ে ভাবিনি। আর দ্বিতীয়ত এমনিও আমার কাছে ছবির অফার কমই আসে কারণটা আমি জানি না। এমনিতেই ইন্ডাস্ট্রিতে হাতে গোনা চার-পাঁচটা পরিচালক, আর দেখবে সব ছবিতেই ঘুরেফিরে একই অভিনেতা কাজ করে। এটা হয়ত ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে, আমি জানি না, যাঁরা নিয়মিত পরিচালক, তাঁদের কমফোর্ট জোনে কিছু নিজস্ব ব্যাঙ্কিং অভিনেতা আছে এং সেটা তাঁরা তাঁদের দিয়েই ক্রমাগত কাজ করান। পরিচালকরা মনে করেন যে তাঁরা যাঁদের সঙ্গে কমফোর্ট তাঁদের সঙ্গেই কাজ করবেন, তাই হয়ত আমি কম কাজের সুযোগ পাই। যদি কেউ আমাকে নিয়ে ভাবে তাহলে হয়ত পাব সুযোগ।
টলিউডে ঠোঁট কাটা বলে কী কাজ পেতে অসুবিধা হয়?
দেবযানী: হতে পারে। দেখো আমি না আমার যেটা বলার বলি তাতে অন্য লোকের মনের মধ্যে কী জটিলতা তৈরি হচ্ছে, তাঁরা এটা নিয়ে কী ভাবছে, সেটা নিয়ে সত্যি কখনও ভাবি না। বলতে পার আমার জনসংযোগটা খুব দুর্বল, ইন্ডাস্ট্রিতে পিআর-এর ডেফিনেশন অনুযায়ী আমি সেটার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারি না। সেটা মানি আমি। ইন্ডাস্ট্রিতে ২১ বছর থাকার পরও আমি টেলিভিশন বা ছবির কোনও পরিচালককে ফোন করে কাজ চাই নি। এটা কোনও গর্বের জায়গা থেকে বলছি না, একদম বাস্তবটা বলছি। সেটা ইন্ডাস্ট্রির সকলে জানে। হয়ত এটাই কারণ মানুষ হয়ত আশা করেন, আসলে এতদিন ধরে যেটা করতে পারলাম না, সেটা এখনও করতে পারব না। আর আমি এত বড় বড় থিয়েটার, টেলিভিশনে কাজ করেছি, সেখান থেকে মনে হয়েছে কেন আমি ফোন করে কাজ চাইব। হয়ত এটা ওল্ড স্কুল থট প্রসেস, আমি বিশ্বাস করি এটাই। নিজেকে এভাবে বিশ্লেষণ করেছি।
অভিনয় বুটিক দুটো একসঙ্গে কীভাবে অ্যাডজাস্ট কর?
দেবযানী: আমি মাল্টি ট্যালেন্টেড। আমার স্বীকার করতে ক্ষতি নেই। ওটা হয়ে যায়। আর এখন তো টেলিভিশনের কাজ নেই। তাই বুটিকে সময় দেওয়া হয়ে যায়।
জীবনের আক্ষেপ?
দেবযানী: আমার কোনও আক্ষেপ নেই। তবে সেই অর্থে বলতে গেলে সেরকম কোনও চরিত্র পেলাম না, যদিও আক্ষেপ নেই, জানি ভবিষ্যতে পাব।
ড্রিম চরিত্র?
দেবযানী: প্রচুর চরিত্র রয়েছে। দেখো কোনও শিল্পীরই না ড্রিম চরিত্র হয় না। আমি হয়ত এমন কোনও চরিত্র পেলাম, যেটা আগে কখনও ভাবিনি, তো তখন আমার সেটাই ড্রিম চরিত্র হয়ে যাবে। আমার স্বপ্ন হল, আমি একাধিক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের ক্লাসটাকে তুলে ধরব, সেটাই আমার স্বপ্ন। যে চরিত্রটা পৌঁছাবে বহু লোকের কাছে। আমি যে মুম্বই গিয়েছি, সেখানে চেষ্টা করছি, শুধুমাত্র আমার প্রতিভাকে তুলে ধরতে। আমার স্বপ্ন হল অভিনেত্রী হিসাবে আরও ভালোভাবে নিজেকে বিকশিত করা।
এত ফিট কী করে থাক?
দেবযানী: হলিউড ও বলিউডে যাঁরা আমার বয়সের তাঁদের দেখলে কী বলবে, আমি তো কিছুই না। আমি তাঁদের অনুসরণ করি, তাঁরা আমায় অনুপ্রাণিত করে। আমি তাই বয়সটা ভাবি না, আমি মনে করি বয়স নিয়ে ভাবাটা সবচেয়ে বড় মেন্টাল ব্লকেজ। অদ্ভত একটা কমপ্লেক্স তৈরি করে। আমি শুধু মনে করি আমায় ফিট থাকতে হবে, গ্ল্যামারস ও সুন্দর থাকতে হবে। ফিট থাকার ট্রেন্ড টা বাঙালি অভিনেত্রীদের মধ্যে কম রয়েছে, তারা একটা বয়সের পর ছেড়ে দেয়। আমার মানসিকতা সেরকম নয়। আমায় ইয়ং থাকতে হবে এবং আমি সেটা মেনেও চলি। আমার মন্ত্র হল, ভালো খাও, ওয়ার্কআউট করো প্রতিদিন, আমি মেডিটেশন করি সকালবেলা, যোগা করি, জিম করি। আমি খুব ডিসিপ্লিন লাইফ মেনটেইন করি। আমি সিগারেট খাই না, ড্রিঙ্কস করি না। বয়স ধরে রাখাটা লাইফস্টাইলের ওপর নির্ভর করে।
আরও দশ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চাও?
অভিনয় করতে দেখতে চাই। হয়ত কিছু লেখালিখিও করতে পারি। অনেক প্ল্যান আছে লাইফে।
হিরোর মায়ের চরিত্র এলে করবে?
মা-কে গুরুত্বপূর্ণ হতে হবে। ওই করমাশিয়াল ছবিতে হিরোর মা করার আমার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। আমি প্রচুর না করেছি। বড় বড় ব্যানার না করে দিয়েছি। হিরোর মা হয়ে থাকার ইচ্ছা নেই। মাকে গুরুত্বপূর্ণ হতে হবে, মা-এর নিজস্ব গল্প থাকবে, তবেই আমি করব। আমার কোনও তাড়া নেই। আমি যখন টেলিভিশন ছেড়েছি না, তখন অনেক কিছু মাথায় নিয়ে, স্বেচ্ছায় ছেড়েছি। কারণ আমি চরিত্রের সঙ্গে আপোস করব না। শেষ আট-নমাস আমি টেলিভিশনে কাজ করছি না, কারণ আমার সেই অবস্থা নয় যে আমায় এখান থেকে উপার্জন করে সংসার চালতে হবে। এ বিষয়ে ভগবানের আশীর্বাদ রয়েছে আমার ওপর। কিছু সমস্যা আসছে, সেটা জিল করছি। আর আমি মনে করি যে একটা ভালো কাজ করতে হলে কিছু সমস্যা আসবে, সেটা নিয়ে ভাবলে চলবে না।