চালাতেন অডি গাড়ি। প্রেমিকার জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলেন হিরের আংটি থেকে দেড় লক্ষের আইফোন ১৩ প্রো। এত টাকা কোথা থেকে পেতেন সাগ্নিক? তিনি কী কাজ করতেন তা বলতে পারছেন না পল্লবীর পরিচিতরা। শুধু তাই নয় অন্য মেয়ের সঙ্গে সমানতালে সম্পর্ক রেখে চলছিলেন সাগ্নিক। সোমবার পল্লবীর বাবা নীলু দে থানায় অভিযোগ করেছেন, অভিনেত্রীর টাকায় বাড়ি-গাড়ি কিনেছিলেন সাগ্নিক। সেই তিনিই পল্লবীর অনুপস্থিতিতে ঘরে বান্ধবী ঐন্দ্রিলাকে আনতেন।
পল্লবীর টাকায় নিউটাউনে ৮০ লক্ষের ফ্ল্যাট কিনেছিলেন সাগ্নিক। প্রেমিকের ফ্ল্যাটের ইএমআই দিতেন অভিনেত্রী। এমনকি পল্লবীর টাকায় দামি গাড়িও কিনেছিলেন। অভিনেত্রীর ২০ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটেরও নমিনি ছিলেন তিনিই। কী করতেন সাগ্নিক? পল্লবীর দাদার বক্তব্য, সাগ্নিক কী করত কিছুই জানি না। শুনেছি ব্লগিং করে। ব্যবসাও নাকি রয়েছে। পল্লবীর বন্ধুরাও হতবাক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়ার জগাছার মেয়ে পল্লবী। ওই এলাকাতেই থাকতেন সাগ্নিক। কাজ করেন একটি টেলিকম সংস্থায়। অথচ ২৬-২৭ বয়সেই তাঁর জীবনযাপন তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। পল্লবীর টাকাতেই কি আমোদপ্রমোদ করে বেড়াতেন? কারণ সাগ্নিক আসলে কি কাজ করতেন সেটাই এখন আস্ত ধাঁধা।
গড়ফা থানায় বাবার অভিযোগ,পল্লবীর অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন সাগ্নিক ও ঐন্দ্রিলা। দু'জনের বিরুদ্ধেই পল্লবীকে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাবার দাবি, প্রতিদিনই সাগ্নিক মদ্যপান করে শারীরিক নিগ্রহ করতেন পল্লবীকে। ঐন্দ্রিলার কথা জানার পর পল্লবীর সঙ্গে সাগ্নিকের ঝামেলা আরও বাড়ে।
পল্লবীর বন্ধু সায়ক চক্রবর্তী জানান,'অভিনেত্রীর জন্মদিনে বড় করে পার্টির আয়োজন করত সাগ্নিক। গতবার হিরের আংটি দিয়েছিল। এবার আইফোন ১৩ প্রো উপহার দিয়েছে। প্রায়ই ওঁরা নামিদামি হোটেলে ঘুরতে যেত। কিন্তু কেউ কোনওদিন জানতে পারিনি ওঁর পেশা কী।' সাগ্নিক পুলিশের কাছে দাবি করেছিলেন, অর্থসংকটে অবসাদে চলে গিয়েছিলেন পল্লবী। বাড়ছিল ইএমআই-র বোঝা। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সায়ক। তাঁর কথায়,'ওঁর টাকার অভাব আছে বলে মনে হয়নি।' দু'জনের সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে সেটা সায়ককে বলেছিলেন পল্লবী।
আরও পড়ুন- 'ঐন্দ্রিলাকে ফ্ল্যাটে আনত,' খুনের অভিযোগ দায়ের পল্লবীর বাবার