আমরা প্রায়শই বলি সংগীত চারদিকে বিরাজ করে। বিশ্ব অসংখ্য প্রাকৃতিক শব্দে ভরা। প্রাকৃতিক পরিবেশে বিশ্ব সংগীতের জাদুতে ভরা মাউন্টেন মিউজিক ফেস্টিভালের প্রথম মরশুমটি কল্পনা করেছিলেন আমাদের শহরের এক অতি সুপরিচিত সংস্কৃতি কর্মী ও ভিনটেজ পোস্টার সংগ্রাহক সুদীপ্ত চন্দ। এটি একটি ওপেন ভ্যালি মিউজিক কনসার্ট যা বিশ্ব সংগীতের নানা ক্ষেত্রের অ্যাকোস্টিক পারফরমেন্সে সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছিল।
এই অনুষ্ঠানটি এবার দেখা যাবে বিশ্ব সংগীত দিবস ২১ জুন, রাত ৯টা থেকে, দ্য ড্রিমার্স-এর ফেসবুক পেজে। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত, পাশ্চাত্য সংগীত থেকে জনপ্রিয় ছবির গান এমনকী ফিউসন মিউজিক, যন্ত্রসঙ্গীতে যুগলবন্দি, স্থানীয় পাহাড়ের শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা সব মিলিয়ে মাউন্টেন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল ছিল জমজমাট। ২০২০ সালের ১ মার্চ আগমলোক তিতলি রিসর্ট মাঠে (পূর্ব সিকিম) এটি অনুষ্ঠিত হলেও বেশীর ভাগ দর্শকই সেখানে গিয়ে এটা দেখার সুযোগ পাননি। সিধু, ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়, পণ্ডিত প্রদ্যুত মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, আশন্ত বাক্লি, ওড়িশি নৃত্যশিল্পী সমর্পিতা চন্দ, শৌভিক মুখোপাধ্যায় (সেতার), সাত্যকি পাঠক (স্যাক্সোফোন)) ফ্ল্যাশব্যাক (ব্যান্ড), মৃন্ময় ভৌমিক (গিটার), আগমলোক মনাস্টেরি-র বৌদ্ধ সাধক এবং স্থানীয় সংগীতশিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
পাহাড়ি উপত্যকায় শ্রোতাদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান হয়। কৌশিক ইভেন্টস, শ্যাম সরকার, কার্পে ডিয়েম এবং ইনরেকো, রেপ্লিকার এর মতো সহযোগীরা এই উদ্যোগকে সহযোগী ছিলেন। সুদীপ্ত চন্দ এ প্রসঙ্গে বলেন, "কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভ্যালের পরে এটি আমার অন্যতম বিশেষ উদ্যোগ ছিল। ভ্রমণ এবং সংগীত একসাথে চলে। এই উদ্যোগ তাদের জন্য যাঁরা সঙ্গীতকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য। আমি মনে করি এই কনসার্টটি ডেস্টিনেশন ট্যুরিজমের আরেকটি দিক উন্মুক্ত করবে, এবং ভ্রমণ এবং পর্যটনকে সমৃদ্ধ করবে। নিঃসন্দেহে এটি বিভিন্ন পাহাড়ের স্থানীয় প্রতিভাদের সামনে আনার মাধ্যম হয়ে উঠবে যারা প্রকৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গীতকে লালন করেছেন।"