নতুন বছরেই বাঙালি দর্শকদের বিনোদনের জন্যে শুরু হয়েছে 'দেশের মাটি'। জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছি দর্শক মনে। এই সপ্তাহে সিরিয়ালে চলছে টানটান উত্তেজনা।
দাদানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্রমনজিৎ এবং তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ বউরানির সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর চেষ্টা করবে নোয়া। শ্রমণজিৎ (শঙ্কর চক্রবর্তী) দীর্ঘদিন পর তাঁর মেয়ে নীল পাখিকে (সৈরিতী ব্যানার্জি) নিয়ে স্বরূপনগরে ফিরে এসেছেন। ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের অধিকারী দাদান, তাঁকে মেনে নিতে অস্বীকার করেন।
শ্রমণজিৎ, তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারকে ছেড়ে দীর্ঘদিন আগে চলে গিয়েছিলেন। তবে এই নিয়ে যথেষ্ট অনুশোচনা রয়েছে তাঁর এবং পরিবারের সঙ্গে ফের একসঙ্গে থাকার জন্য আকুল হয়ে আছেন তিনি।
নোয়া পারিবারিক মূল্যবোধ বোঝে। সেই সঙ্গে দাদানের খুব কাছাকাছি থাকার কারণে এই পরিবারের শিকড়কে ধরে রাখতে চায় সে। দাদান, দিদা এবং বৌরানির যত্নেই বড় হয়েছে নোয়া। তাই মুখার্জি পরিবারকে পুনরায় একত্রিত করার এবং হারিয়ে যাওয়া আনন্দ ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে সে।
অন্যদিকে, একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাজা এবং মাম্পির সম্পর্কের একটি নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। ভুল বোঝাবুঝিতে জড়িয়ে রাজা ও মাম্পি একে অপরের প্রতি তাঁদের প্রকৃত অনুভূতি সম্পর্কে অজ্ঞাত বা প্রকাশ করতে পারে না। নীলপাখির সঙ্গে রাজার বন্ধুত্ব মাম্পিকে আরও ভাবিয়ে তোলে। ফলস্বরূপ তাঁদের সম্পর্কের এই রসায়ন অনুরাগী ভালবাসায় রূপান্তরিত হতে থাকে ক্রমেই।
নোয়া কি পারবে শ্রমণজিৎ এবং বৌরানির মধ্যে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝিগুলিকে দূর করে তাঁদের একত্রিত করতে? সেই সঙ্গে রাজা ও মাম্পির এই সম্পর্কের কথা পরিবারকে কীভাবে জানাবে নোয়া?