সিজন ১৩ নিয়ে ফিরে এসেছে টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্যুইজ শো কৌন বনেগা ক্রোড়পতি। এই শোয়ের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছেন অনেক বুদ্ধিমান ও জ্ঞানি ব্যক্তি। এখান থেকে প্রাইজ মানি জিতে বদলে গিয়েছে অনেকেরই জীবন। তাঁদেরই একজন সুশীল কুমার। কেবিসি সিজন ৫-এর বিজয়ী ছিলেন তিনি।
কেবিসি ৫ থেকে পাঁচ কোটি টাকা প্রাইজ মানি জিতেছিলেন সুশীল কুমার। শো থেকে জেতা অর্থে বদলে যায় বিহারের এই বাসিন্দার জীবন। তবে তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
এক ফেসবুক পোস্টে সুশীল কুমার জানান, ক্রোড়পতি জেপার পরেই তাঁর জীবনে খারাপ সময় শুরু হয় এবং খুব তাড়াতাড়িই তিনি দেউলিয়া হয়ে যান। তিনি জানান, ২০১৫-১৬ সাল তাঁর জন্য খুবই কঠিন ছিল। স্থানীয় সেলেব্রিটি হওয়ার জেরে তাঁকে মাসে ১০-১৫টি অনুষ্ঠানে উপস্থিতি থাকতে হত, যার জেরে তাঁর পড়াশোনারও ক্ষতি হয়।
সুশীল ওই পোস্টে আরও লেখেন, 'যেহেতু একজন স্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলাম, তাই সেইসময় সংবাদমাধ্যমকে খুবই গুরুত্ব দিতাম। অনেক সময় সাংবাদিকরা আমার বিষয়ে লিখতেন এবং সাক্ষাৎকার নিতেন। কিন্তু আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলার কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। তবুও তাঁদের নিজের ব্যবসা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে বলতাম। যাতে মানুষের এটা না মনে হয় যে আমি কর্মহীন। কয়েকদিনের মধ্যেই আমার ব্যবসা নষ্ট হয়ে যায়।'
সুশীল জানাচ্ছেন, কেবিসির পর তিনি দানধ্যান শুরু করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনুদান দিতেন। যার জেরে কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাও করেন। তাছাড়া পড়াশোনার থেকে দূরে সরে যাওয়ায় মানুষের সঙ্গে কথা বলতেও ইতস্তত করতেন তিনি।
এছাড়া একসময় মদ ও ধূমপানের নেশাতেও জড়িয়ে পড়েন বলে জানান সুশীল। তিনি জানাচ্ছেন, একদিন রাতে তিনি সিনেমা দেখছিলেন। সেই সময় তাঁর স্ত্রী রেগে যান। ইতিমধ্যেই একটি ইংরেজি কাগজের রিপোর্টার তাঁকে ফোন করেন।
ফোনে কথা বলার সময়ই সুশীল তাঁকে বলেন যে, কেবিসি থেকে জেতা সমস্ত অর্থ শেষ হয়ে গিয়েছে এবং তিনি ২ টি গরু প্রতিপালন করছেন ও সেগুলির দুধ বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই সকলে তাঁর থেকে সরে যান বলে জানান সুশীল। এরপর মুম্বইতে গিয়ে সিনেমা জগতে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করার চেষ্টা করেন তিনি।