scorecardresearch
 

বিষাক্ত দাম্পত্য ছেড়ে বেরিয়ে নতুন পথের খোঁজে তিয়াশা 'লেপচা'

স্বামী সুবান রায়ের (Suban Roy) সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল। আর মানুষের নানা মন্তব্য ঘিরে ছিল তিয়াশাকে নিয়ে। ফেলে আসা সময়ের সেই যন্ত্রণা নিয়ে মুখ খুললেন তিয়াশা। সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে নিজের মনে কথার ঝাঁপি উজাড় করে দিলেন তিয়াশা লেপচা।

Advertisement
বিষাক্ত দাম্পত্য ছেড়ে বেরিয়ে নতুন পথের খোঁজে তিয়াশা 'লেপচা' বিষাক্ত দাম্পত্য ছেড়ে বেরিয়ে নতুন পথের খোঁজে তিয়াশা 'লেপচা'

তিয়াশা লেপচা (Tiyasha Lepcha) খুব শীঘ্রই আবারও ফিরতে চলেছেন ছোট পর্দায়। স্টার জলসার নতুন সিরিয়াল ‘বাংলা মিডিয়াম’-এ দেখা যাবে তাঁকে। একসময় জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’-তে শ্যামার চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেছিলেন তিয়াশা। কিন্তু তার পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। স্বামী সুবান রায়ের (Suban Roy) সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল। আর মানুষের নানা মন্তব্য ঘিরে ছিল তিয়াশাকে নিয়ে। ফেলে আসা সময়ের সেই যন্ত্রণা নিয়ে মুখ খুললেন তিয়াশা। সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে নিজের মনে কথার ঝাঁপি উজাড় করে দিলেন তিয়াশা লেপচা।

তিয়াশা জানান, গোবরডাঙার সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। অভিনয় জগতে পা রাখার পর থেকে তাঁর আশপাশের মানুষ মনে করেন, তিয়াশার অ্যাটিটিউড রয়েছে। কারণ তাঁদের ধারণা তিয়াশা অভিনেত্রী হওয়ার কারণে তাঁর হাসি-কান্নাও অভিনয়। কিন্তু অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও মন আছে বলে মনে করেন তিনি। তিয়াশা জানালেন, সকলে কাজ পাওয়ার জন্য লড়াই করেন। কিন্তু তাঁর লড়াইটা শুরু হয়েছে চার বছর ধরে লাগাতার হিট সিরিয়াল ‘কৃষ্ণকলি’ শেষ হয়ে যাওয়ার পর। বর্তমানে নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিয়াশা।

অপরদিকে তিয়াশার আত্মীয়-স্বজনদের মতে, এক সময় সুবানের হাত ধরে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন তিয়াশা। সেই সুবানকেই নিজের জীবন থেকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিয়াশা বলেন, 'ছেড়ে দেওযা কথা আপত্তি রয়েছে আমার। ডিভোর্স তখনই হয় যখন দু' জন মানুষের সম্মতি থাকে। ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে সুবানের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ওর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।'

তিয়াশা আরও জানান, সমাজে প্রচলিত ধারণা রয়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদ হলেই তার দায় মেয়েদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়। তবে তিনি বহু ক্ষেত্রে দেখেছেন, কোনও মেয়ে সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে বা বিষাক্ত সম্পর্কের কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। সমাজের তথাকথিত নীতিপুলিশরা কোনও মন্তব্য করার আগে ভাবেন না, এর ফলে কারও জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে। তিয়াশার কথায়, 'আমি যে যাই প্রফেশনে থাকি, হাসি, খেলি, গল্প করি, সবই কিন্তু ভালো থাকার জন্য। সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারও মন্তব্যে ভেঙে পড়বেন না।'

Advertisement

সুবান তাঁকে প্ল্যাটফর্ম দিলেও লড়াইটা কিন্তু তাঁর নিজের ছিল। এই কারণে তিয়াশা আশাবাদী, হয়তো চারপাশের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন তিনি। বর্তমানে ‘রায়’ নয়, তিনি চান, তাঁকে সবাই চিনুক ‘লেপচা’ পদবির মাধ্যমে। তিয়াশা বলেন, 'যদি কারও আমার পদবি নিয়ে সমস্যা থাকে তিনি শুধু তিয়াশা নামেও ডাকতে পারেন।'

 

Advertisement