
২০২৪-এর প্রথম থেকেই আসছে নতুন কয়েকটি ধারাবাহিক। পুরনো মেগার গল্পে আসছে নতুন নতুন ট্যুইস্ট,পাল্টাচ্ছে সম্প্রচারের সময়ও। বলাই বাহুল্য জোড়দার টেক্কা চলছে বাংলা টেলিভিশনে। সে তালিকায় যোগ হল 'কনস্টেবল মঞ্জু'-র নাম। সান বাংলায় আসছে এই নতুন মেগা। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন দিয়া বসু ও শুভ্রজিৎ সাহা।
নতুন এই ধারাবাহিকের গল্প একেবারে পারিবারিক।পুলিশের উর্দিতে একেবারে নতুন অবতারে এবার দেখা যাবে পর্দার মিনু অর্থাৎ অভিনেত্রী দিয়াকে। এবার তিনি রসুলপুর থানার কনস্টেবল। গ্রামের মেয়ে মঞ্জু কিছুটা ভিতু প্রকৃতির। তার বাবা একজন কনস্টেবল ছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত কাজ করতে করতেই মৃত্যু হয় তার। বাবার চাকরিটাই পায় মঞ্জু। সেখানেও তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। কিন্তু বহুবার রসুলপুরের থানার বহু সমস্যার সমাধান করেছে সে। সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতা ও পরিকল্পনায়।
অন্যদিকে, গল্পের নায়ক অর্জুন, অত্যন্ত ধান্দাবাজ। ডন টাটু সতপতির হয়ে কাজ করে সে। অর্জুন তার বাবার প্রতি ক্ষুব্ধ। কারণ তার বাবা, মায়ের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে না। বাবার অসাবধানতার কারণেই নিজের বোনকে হারিয়েছে অর্জুন। কু-কাজ করলেও, মনের দিক থেকে সে ভাল। গরীবদের সাহায্য করে এবং নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রসুলপুরের রাজনীতিবিদ তথা জমিদার বাড়ির মেয়ে, নন্দিনীকে ভালোবাসে সে।
ঘটনাচক্রে অর্জুন ও মঞ্জুর বিয়ে হয়, এক প্রকার জোর করেই। যদিও তারা দু'জনে একে অপরকে ছোটবেলা থেকেই চেনে। দু'জনে খুব ভাল বন্ধু হলেও, তারা একে অপরকে বিয়ে করার কথা ভাবেনি। অর্জুন সব সময় নন্দিনীকে ভালোবাসত। মঞ্জু ও অর্জুনের বৈবাহিক সম্পর্কের কোন দিকে এগোবে? একদিকে অর্জুন, একজন অপরাধী। অন্যদিকে মঞ্জু, একজন পুলিশ। তাদের ভাগ্যে কী রয়েছে? মঞ্জু কি কখনও আত্মবিশ্বাসী একজন আইপিএস হতে পারবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ধারাবাহিকে।
প্রসঙ্গত, ছোট পর্দার চেনা মুখ দিয়া বসু। গত বছরের মার্চ মাস নাগাদ শেষ বারের মতো ছোট পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। 'ক্যানিংয়ের মিনু' ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিয়া। এর আগে 'হৃদয় হরণ বিএ পাস', 'কনে বউ', 'জীবন সাথি'-র মতো মেগাতে কাজ করেছেন তিনি। অন্যদিকে এর আগে 'রাখি বন্ধন', 'নয়নতারা'- মতো ধারাবাহিকের মুখ ছিলেন শুভ্রজিৎ।