Pallavi Dey Death: বাংলা টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যু ঘিরে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও তা মন থেকে মানতে পারছেন না পল্লবীর বাবা নীলু দে। তিনি বার বার বলছেন, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। বার বার খুনের তত্ত্বই তুলে আনছে পল্লবীর পরিবার।
রবিবার সন্ধ্যায় পল্লবী দে’র ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে, তাতে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। কাটাপুকুর মর্গে পল্লবীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন পল্লবী। তবে আত্মহত্যা করে থাকলেও তার পিছনে কোনও প্ররোচনা ছিল কি না তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পল্লবীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিককে।
এর মধ্যেই বিস্ফোরক সব দাবি করেছেন পল্লবীর বাবা। তাঁর মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে সাগ্নিকের ভূমিকা সন্দেহজনক বলেই দাবি তাঁর। পুলিশ সাগ্নিককে আটকের পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে। কল রেকর্ডস থেকে চ্যাট, সোশাল মিডিয়া হিস্ট্রি সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে পল্লবীর বাবা দাবি করেন, সাগ্নিক বিবাহিত। এখনও ডিভোর্স হয়নি। এর মধ্যেই তাঁর মেয়ের সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন। এমনকী প্রথমে পল্লবীকে সেই বিয়ের বিষয়ে কিছু জানাননি বলেও দাবি পল্লবীর বাবার। মাস ছ’য়েক আগে তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন। পল্লবীর বাবা বলেন, “এ নিয়ে সাগ্নিকের সঙ্গে কথা বললে ও বলেছিল ডিভোর্সের জন্য ও আবেদন করেছে।” পল্লবীকে মারধরও করতেন সাগ্নিক, এই দাবিও করেন পল্লবীর বাবা। মারের দাগ মেয়ের শরীরে দেখেছেন তাঁরা। যদিও সাগ্নিকের মায়ের দাবি, বিয়ের বিষয়ে প্রথম থেকেই জানানো হয়েছিল। ছেলের লিভ-ইন সম্পর্কে তাঁর আপত্তিও ছিল।