scorecardresearch
 

SA RE GA MA PA 2022 Grand finele winners: 'সা রে গা মা পা' যুগ্মসেরা পদ্মপলাশ-অস্মিতা, কীভাবে উত্থান দু'জনের? অজানা কাহিনি

রবিবারের সন্ধ্যা জমে উঠেছিল সুরেলা জাদুতে। সা রে গা মা পা-এর গ্র্যান্ড ফিনালে ছিল এদিন। আর অন্তিম লড়াইয়ে সকলের মন যৌথভাবে জয় করে নিলেন পদ্ম পলাশ হালদার ও অস্মিতা কর। আবির চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত এই সিজনে যৌথভাবে জিতেছেন পদ্ম পলাশ এবং অস্মিতা। নিজেদের দুর্দান্ত গায়কির মাধ্যমে শোর বিচারকদের মন জয় করে নেন তাঁরা।

Advertisement
অস্মিতা কর ও পদ্ম পলাশ হালদার অস্মিতা কর ও পদ্ম পলাশ হালদার
হাইলাইটস
  • রবিবারের সন্ধ্যা জমে উঠেছিল সুরেলা জাদুতে। সা রে গা মা পা-এর গ্র্যান্ড ফিনালে ছিল এদিন। আর অন্তিম লড়াইয়ে সকলের মন যৌথভাবে জয় করে নিলেন পদ্ম পলাশ হালদার ও অস্মিতা কর।
  • আবির চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত এই সিজনে যৌথভাবে জিতেছেন পদ্ম পলাশ এবং অস্মিতা।
  • নিজেদের দুর্দান্ত গায়কির মাধ্যমে শোর বিচারকদের মন জয় করে নেন তাঁরা

রবিবারের সন্ধ্যা জমে উঠেছিল সুরেলা জাদুতে। সা রে গা মা পা-এর গ্র্যান্ড ফিনালে ছিল এদিন। আর অন্তিম লড়াইয়ে সকলের মন যৌথভাবে জয় করে নিলেন পদ্ম পলাশ হালদার ও অস্মিতা কর। আবির চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত এই সিজনে যৌথভাবে জিতেছেন পদ্ম পলাশ এবং অস্মিতা। নিজেদের দুর্দান্ত গায়কির মাধ্যমে শোর বিচারকদের মন জয় করে নেন তাঁরা। এদিনের গ্র্যান্ড ফিনালেতে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন কুমার শানু ও সোনু নিগম। তাঁদেরও মুগ্ধ করেন পদ্ম পলাশ ও অস্মিতা। 

কীর্তনীয়া পলাশ নামে পরিচিত পদ্ম পলাশ
পদ্মপলাশ হালদার লক্ষ্মীকান্তপুরের বাসিন্দা। সেখানকার কীর্তন বাড়ির ছেলে বলেই পরিচিত পদ্ম। এলাকায় সকলে তাঁকে কীর্তনীয়া পলাশ বলেই চেনেন। তাঁদের পরিবারে কেউ কোনওদিন চাকরি করেননি, ব্যবসাও করেননি। তিন পুরুষ ধরে তাঁরা শুধুই কবি গান আর কীর্তন গেয়েছেন। সেই পরিবারের ছেলে পদ্ম পলাশ সা রে গা মা পা ২০২২-এ অংশ নেন। গানের এই রিয়্যালিটি মঞ্চে পদ্ম মূলত তাঁর কীর্তন গানকেই তুলে ধরেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে পদ্মপলাশ জানিয়েছিলেন যে তাঁর ঠাকুরদা এই কীর্তনের ধারা শুরু করেছিলেন। আধ্যাত্মিক গানের পরিবেশ বরাবরই ছিল তাঁদের বাড়িতে সেই আবহেই বড় হয়েছেন পদ্ম পলাশ। তাঁর বাবা, কাকারাও চাকরি-ব্যবসার দিকে না গিয়ে বরং এই কীর্তন গান গেয়েই নিজেদের জীবিকা অর্জন করেছেন। সেই ধারা বজায় রেখেছেন পদ্ম পলাশও। 

কৃষ্ণনামে মগ্ন কীর্তনীয়া পলাশ

 

আরও পড়ুন: সারেগামাপা জয়ী পদ্মপলাশ-অস্মিতা, দ্বিতীয়-তৃতীয় স্থানে কারা?

সব ধরনের গানেই পারদর্শী পদ্ম
সা রে গা মা পা-এর মঞ্চে পদ্ম পলাশ শুধু কীর্তন গানেই নিজেকে বেঁধে রাখেননি। নানান স্বাদের গান তিনি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তবে এই মঞ্চে এসে পদ্ম পলাশ কীর্তন গানকে সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পেরেছেন। পদ্ম পলাশ অজয় চক্রবর্তীর ছাত্রও। তাই তিনি যে পাকা গায়ক সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পদ্ম ২০১৫ সালে অজয় চক্রবর্তীর কাছ থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছিলেন। এই শোয়ের বিচারকরাও প্রত্যেকটি পর্বে পদ্ম পলাশের গানের ভূয়সী প্রশংসা করতেন। সা রে গা মা পা জয়ী পদ্ম পলাশের কথায়, "বিজেতা হতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। সম্মানীয় বিচারক এবং অতিথিদের সামনে পারফর্ম করতে পারাটাই অনেক বড় ব্যাপার।" তিনি আরও বলেন, "সকলে আমার গান পছন্দ করেছেন। প্রশংসা করেছেন। সেটা সত্যিই খুব আনন্দের বিষয়।" পদ্ম পলাশ গোটা সিজনে কীর্তন এবং ক্লাসিক্যাল গান গেয়ে নজর কেড়েছেন। শেষদিনেও তাঁর গানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন সংগীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্ররা।

Advertisement
কীর্তন গানেই বিচারকদের মন জয় করেছেন পদ্ম পলাশ

আরও পড়ুন: সঙ্গীতের মহারথীরা দিলেন বিশেষ বার্তা, দেখুন 'সারেগামাপা'-র গ্র্যান্ড ফিনালের আগাম ঝলক

 

অস্মিতার অনুপ্রেরণা তাঁর মা
সা রে গা মা পা ২০২২-এ পদ্ম পলাশের সঙ্গে যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন অস্মিতা কর। নিউটাউনের বাসিন্দা অস্মিতার ছোট থেকেই গানের প্রতি ভালোবাসা ছিল। ছোট থেকে অস্মিতা একাধিক গুরুর কাছ থেকে গানের তালিম নিয়েছেন। সা রে গা মা পা-এর মঞ্চে অস্মিতা বাংলা ও হিন্দি সব ধরনের গান গেয়ে বরাবর বিচারকদের মন জয় করে এসেছেন। তাঁর সুরেলা আওয়াজ দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। অস্মিতার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তাঁর মা। অস্মিতা প্রিয় গায়িকা কিন্তু সুনীধি চৌহান, কারণ তিনি সবধরনের গান গাইতে পারদর্শী বলেই মনে করেন অস্মিতা। তাই ভবিষ্যতে তিনিও সুনীধি চৌহানের পথই অনুসরণ করতে চান। এই শো জেতার পর অস্মিতা বলেন, "দুর্দান্ত সফরে শামিল হয়েছিলাম। খুব ভালো লাগছে। আমাদের নাম ঘোষণা হওয়ার মুহূর্তটা কোনওদিন ভুলব না।" তাঁর সংযোজন, "আমার মা, দাদা এবং বউদি গ্র্যান্ড ফিনালে দেখতে এসেছিল। কিন্তু, বাবা বাড়িতেই ছিল। আমার জন্য প্রার্থনা করছিল। আমি স্টেজে গান গাইতে উঠলে বাবা সবসময় আমার জন্য প্রার্থনা করে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।"

সা রে গা মা পা-এর ফিনালের মঞ্চে অস্মিতা

রবিবাসরীয় সন্ধ্যা জমে ওঠে গানে গানে
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবারের সন্ধ্যা একেবারে জমে ওঠে সা রে গা মা পা-এর ৬ জন প্রতিযোগীর গানে গানে। পদ্ম পলাশ, অস্মিতা, বুলেট কাবো, সোনিয়া গ্যাজমে ও ঋদ্ধিমান বিশ্বাস সেরা ২১ প্রতিযোগীর মধ্যে কড়া লড়াই চলার গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য সিলেক্ট হয়েছিলেন। এই ৬ জন সেরা সেরা প্রতিযোগীদের মধ্যে ফাইনালে পৌঁছান। সকলের গানেই মুগ্ধ হন বিচারকেরা। তাই কাকে বিজয়ী করবেন তা ছিল বেশ কঠিন কাজ বিচারকদের কাছে। তবে অবশেষে জয়ী হলেন পদ্মপলাশ হালদার এবং অস্মিতা কর। এই দীর্ঘ লড়াই চালানোর পর তাঁরাই বিজয়ীর মুকুট ছিনিয়ে নিলেন। দ্বিতীয় স্থানে রইলেন অ্যালবার্ট কাবো। এবং তৃতীয় স্থানে আছেন সোনিয়া গ্যাজমের। চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে শেষ করেন ঋদ্ধিমান বিশ্বাস এবং বুলেট বিমান সরকার। ভিউয়ারস চয়েস পুরস্কার পেলেন অ্যালবার্ট কাবো।  

Advertisement