মা হওয়ার পর প্রায় দেড় মাসের মধ্যে কাজে ফিরেছেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান। গত অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয়েছে সুদেষ্ণা রায় এবং অভিজিৎ গুহ-র পরবর্তী ছবি 'জয়কালী কলকত্তায়ালি' -র শ্যুটিং। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন নুসরত জাহান ও সোহম চক্রবর্তী।
এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সুস্মিতা চ্যাটার্জি, সোমরাজ মাইতি, কাঞ্চন মল্লিক, সুদীপ মুখার্জি, অনির্বাণ চক্রবর্তী, প্রিয়াঙ্কা রতি পাল, সুমিত সমাদ্দার, রিচা শর্মা, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, শ্রীকান্ত মান্না, সিলভিয়া দে -এর মতো অভিনেতারা। শ্যাডো ফিল্মসের প্রযোজনায় আসছে এই ছবি।
শহরতলীর একটি মন্দির থেকে একটি সুন্দর কারুকাজ করা সোনার কালী মূর্তি চুরি হয়। সেখানে থেকেই শুরু হয় ঝামেলা। কিন্তু ঘটনাচক্রে চোরদের লুকানো জায়গা থেকে আবারও হারিয়ে যায় মূর্তিটি।
কয়েক কোটি টাকা মূল্যের কালী মূর্তির খোঁজ চলছে। অনীশ, সুজয় ও মিলি তিন বন্ধু কলকাতায় থাকে। শিক্ষিত অনীশ চাকরি খুঁজছে মরিয়া হয়ে। সুজয় একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। তাঁর স্বপ্ন ব্যবসা করার, কিন্তু কোনও অর্থ সংস্থান নেই। তবে সে অত্যন্ত শক্তিশালী ও চটপটে।
অন্যদিকে মিলি, অভিনেত্রী হতে শহরে এসেছে। কিন্তু কোনও যোগাযোগ না থাকায়, কাজ পাওয়া তাঁর জন্য কঠিন। তাঁরা একে অপরের কষ্টে সান্ত্বনা খুঁজে পায়। উপায় না দেখে, তাঁরা ঠিক করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, একসঙ্গে অর্থ উপার্জন করবে।
একবার ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচার সময় অনীশ রাস্তায় পার্ক করা একটি স্কুটি নিয়ে পালায়। একেবারে নতুন স্কুটিটি ছিল রাকার। যিনি একজন নৃত্য শিক্ষিকা। চিন্তিত রাকা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। রাকার সঙ্গে তাঁর দেখা হলে, অনীশ তাঁকে মিথ্যে বলে যে স্কুটিতে বোমা থাকার কারণে, তাঁকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন সে। অনীশের এই পদক্ষেপে তাঁর প্রতি ভাল লাগা তৈরি হয় রাকার। ধীরে ধীরে অনীশের সঙ্গে মিথ্যে ভরা প্রেম শুরু হয় রাকার।
হঠাৎ হারিয়ে যাওয়া কালী মূর্তিটির সন্ধান পায় রাকা। সে অনীশকে পুলিশ ভেবে তাঁর কাছে নিয়ে আসে মূর্তিটি। এভাবেই একের পর এক ঘটনার ফলে তাঁদের চারজনের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে যায় মূর্তিটি। একদিকে রাকা- অনীশের প্রেম, অন্যদিকে কালী মূর্তি। এদিকে সিআইডি কালী মূর্তির পাশাপাশি, তিন প্রতারকদের খুঁজছে। শেষ পর্যন্ত কি কালী মূর্তিটি পাওয়া যাবে? নাকি মা কালী প্রতারকদের রক্ষা করবেন?
কমেডির পাশাপাশি ছবিতে রয়েছে সাসপেন্স। কলকাতার বেশ কয়েকটি লোকেশনে চলছে ছবির শ্যুটিং। পুজোর আগেই শুরু হয়েছিল প্রথম পর্যায়ের শ্যুট। ফের মাঝে কিছুদিনের বিরতির পর, নুসরত কাশ্মীর থেকে ফেরার পর শুরু হয় দ্বিতীয় পর্যায়ের শ্যুট।