দীর্ঘ চার বছর ফের বড় পর্দায় জুটিতে বাঁধছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও মীর আফসার আলি। সৌজন্যে অভিজিৎ দাসের ছবি 'বিজয়ার পরে...Autumn Flies'।
'বিজয়ার পরে' ছবিতে অভিনয় করছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, মীর আফসার আলি, দীপঙ্কর দে, মমতা শংকর, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর, শেষ হবে প্রথম পর্যায়ের শ্যুটিং। কিছুদিন বিরতি নিয়ে নতুন বছরে, জানুয়ারি মাসে ফের শুরু হবে শ্যুটিং।
Time and tide waits for no one... সময় বয়ে চলেছে নদীর স্রোতের ন্যায়। আর মানবজীবনে যত সময় ফুরিয়ে আসে, প্রত্যেকটা জীবনের কিছু গল্প বলার তাগিদ ক্রমশ বেড়ে যায়। শব্দরাও যেন সেই সময় শব্দ খুঁজে বেড়ায়, গল্পরা ভাষা পায় না।
দীর্ঘ জীবনের শেষ সঞ্চয়গুলকে জড়ো করে কাছের মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিতে চায় প্রিয়জনের থেকে বিচ্ছিন্ন এরকম বহু মানুষ। ঠিক যেমনটা আত্ম সন্তুষ্টির পথ খুঁজতে থাকেন অলকানন্দা ও আনন্দ। দুর্গাপুজোর প্রেক্ষাপটে ক্রমশ নিরুদ্দেশ হতে থাকা মানুষগুলিকে খুঁজে বেড়ায় তাঁরা।
দীর্ঘদিন পর তাঁদের মেয়ে মৃণ্ময়ী বাড়ি ফিরে আসে মিজানুরের সঙ্গে। একসময়ের ছিঁড়ে যাওয়া সম্পর্কগুলোকে আবার জুড়তে বসে দু'জনে। অলকানন্দা একে একে যেন হারাতে থাকে তাঁর জীবনের মূল্যবান সঞ্চয়।
নিজের মতো করে আকস্মিক কিছু ঘটনা ঘটিয়ে চলে অলকানন্দা, প্রবহমান মুহূর্তের বাস্তব এবং অবাস্তবতার মাঝে দাঁড়িয়ে অনুধাবন করে চলে জীবনের কঠিন সারাংশের উপসংহার টুকু। তবুও তাঁর মনে অপেক্ষা থেকে যায়, চিত্রটা যদি কিছুটা বদলায়।
সত্যি কি বদলে যাবে এই চিত্র? নাকি শুধু থেকে যাবে অপেক্ষা? এমনই কিছু জীবন, যারা অপেক্ষা করে যায়, তাঁদের গল্প বলে 'বিজয়ার পরে...Autumn Flies'।
সব ঠিক থাকলে অভিজিৎ দাস পরিচালিত এবং এসআর জুপিটার মোশন পিকচারস প্রযোজিত নতুন ছবি 'বিজয়ার পরে' মুক্তি পাওয়ার কথা আগামী বছর পুজোর আগে। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করছেন রণজয় ভট্টাচার্য এবং সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সুপ্রিয় দত্ত।
অভিজিৎ দাস আগে জানিয়েছিলেন, "দীর্ঘ সময় ধরে বিজ্ঞাপনের ছবি বানাতে গিয়ে, অনেকটা সময় মানুষের প্রতিদিনের জীবন বৈচিত্রের গল্প খুঁজতে হয়েছে। লিখতে হয়েছে স্বল্প প্রিস্রে। সম্পূর্ণটা বলতে পাড়ার খামতি থেকে যাচ্ছিল। তাঁদের গল্প শুনতে গিয়ে মনে হয়েছে, তাঁরা সবটা বলছেন না। কিংবা বলার মতো মানুষ খুঁজে পাচ্ছেন না।"
অভিজিৎ দাস আগে জানিয়েছিলেন, "দীর্ঘ সময় ধরে বিজ্ঞাপনের ছবি বানাতে গিয়ে, অনেকটা সময় মানুষের প্রতিদিনের জীবন বৈচিত্রের গল্প খুঁজতে হয়েছে। লিখতে হয়েছে স্বল্প প্রিস্রে। সম্পূর্ণটা বলতে পাড়ার খামতি থেকে যাচ্ছিল। তাঁদের গল্প শুনতে গিয়ে মনে হয়েছে, তাঁরা সবটা বলছেন না। কিংবা বলার মতো মানুষ খুঁজে পাচ্ছেন না।"