scorecardresearch
 

সোহিনীর মুখে 'রগড়ে দেব' শুনে ফিরল পুরনো স্মৃতি, সংলাপের স্রষ্টা কে জানেন?

গত কাল রবিবার মুক্তি পেয়েছে 'আয় খুকু আয়' ছবির অফিশিয়াল ট্রেলার। যেখানে বাবা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাদেও সাম্প্রতিক কালের রাজনীতির একটি প্রসঙ্গে চলেই আসছে। ছবিতে রাজনীতিবিদ পুতুলরানি বাগচীর ভূমিকায় দেখা যাবে সোহিনীকে। একটি অনুষ্ঠানে স্টেজেই নির্মল-রূপী প্রসেনজিৎকে সোহিনী বলেন, 'এই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, করে খাচ্ছ, করে খাও। বেশি কথা বললে না রগড়ে দেব।'

Advertisement
সোহিনী সেনগুপ্ত এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সোহিনী সেনগুপ্ত এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

গত কাল রবিবার মুক্তি পেয়েছে 'আয় খুকু আয়' ছবির অফিশিয়াল ট্রেলার। যেখানে বাবা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাদেও সাম্প্রতিক কালের রাজনীতির একটি প্রসঙ্গে চলেই আসছে। ছবিতে রাজনীতিবিদ পুতুলরানি বাগচীর ভূমিকায় দেখা যাবে সোহিনীকে। একটি অনুষ্ঠানে স্টেজেই নির্মল-রূপী প্রসেনজিৎকে (Prosenjit Chatterjee) সোহিনী (Sohini Sengupta) বলেন, 'এই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, করে খাচ্ছ, করে খাও। বেশি কথা বললে না রগড়ে দেব।'

বছর খানেক পিছিয়ে গেলে এই 'রগড়ে দেব' শব্দ দুটি রাজ্যে ভোটের আবহে বেশ শোরগোল ফেলেছিল। যাঁরা মনে করতে পারছেন না বা এই শব্দবন্ধের সঙ্গে পরিচিত নন, তাঁদের জন্য বলে রাখা ভালো, এই সংলাপ কিন্তু কোনও লেখক বা চিত্রনাট্যকারের মস্তিষ্কপ্রসূত নয়। এটি সম্পূর্ণ বাস্তব চরিত্র থেকে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনাক্রম জানতে একটু পিছিয়ে যেতে হবে। বিজেপির তৎকালীন রাজ্যসভাপতি দীলিপ ঘোষ (Dilip Ghosh) একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এই শব্দগুলি উচ্চারণ করেন। তাঁর হুঁশিয়ারি ছিল শিল্পীদের প্রতি। দিলীপের বক্তব্য ছিল, শিল্পী মানুষ অভিনয় করে বা গান করে বা শিল্পী হিসাবে যে যা করেন তাই নিয়ে থাকুন। রাজনীতি করবেন না। রাজনীতি করতে এলে রগড়ে দেবেন তিনি বা তাঁর দল। এ নিয়ে যিনি সঞ্চালক ছিলেন তিনি পাল্টা প্রশ্নও করেন 'রগড়ে দেব মানে?' তাতেও সেই একই ভঙ্গিতে দিলীপ বলেন, 'রগড়ানি জানে সকলেই। দিলীপ ঘোস(ষ) কীভাবে রগড়ায় সবাই জানে।'

বছর খানেক বাদে সেই একই সংলাপের পুনরাবৃত্তি। তবে এবার বাস্তবে নয়, কল্পনায়। তবে কল্পনার ভিত্তি যে বাস্তই তা হয়তো সকলেই বুঝতে পারছেন।

 

Advertisement