অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee) এবং ব্যবসায়ী অভিরূপ নাগ চৌধুরীর (Abhirup Nag Chowdhury) সম্পর্ক নিয়ে টলি পাড়ায় বেশ কয়েক মাস ধরেই গুঞ্জন ছিল। পেশায় ব্যবসায়ী অভিরূপ নাগ চৌধুরীর সঙ্গে শ্রাবন্তীর সম্পর্ক নিয়েই নাকি তৃতীয় স্বামী রোশনের সঙ্গে মনোমালিন্য তৈরি হয়েছিল শ্রাবন্তীর। নেট মাধ্যমেও শ্রাবন্তীকে নিয়ে প্রচুর ট্রোলিংও হয়েছে। তবে রবিবারের সকালটা অন্য রকম হল। সোশাল মাধ্যমে অভিরূপকে আনফলো করলেন শ্রাবন্তী। কিন্তু হঠাৎ আনফলো কেন?
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, রোশন সিং (Roshan Singh) বধূ ফেরতের মামলা করেছেন। সেই মামলার প্রথম শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন শ্রাবন্তী। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁরা আলাদা থাকলেও এখনও রোশনের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়নি শ্রাবন্তীর। তাই নতুন সম্পর্কের জন্য আইনি সমস্যা বাড়তে পারে অভিনেত্রীর। যদিও অভিরূপের ভাইকে এখন ফলো করছেন শ্রাবন্তী। গত জুন মাসে নিজের ফ্ল্যাটেই পরিবারের সঙ্গে অভিরূপের জন্মদিন সেলিব্রেট করেন শ্রাবন্তী। শোনা গিয়েছে অভিরূপের আঙুলে হিরে বসানো প্ল্যাটিনামের আংটি পরিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। একান্ত পারিবারিক অনুষ্ঠান হলেও সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রকাশিত হয়।
সম্পর্ক নিয়ে শ্রাবন্তী বা অভিরূপ সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি কখনও। তবে সম্প্রতি শ্রাবন্তীর একটি ফটোশুটের ভিডিওতে কমেন্ট করেন অভিরূপ। তার পর আংটি নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তিনি। সোশাল দেওয়ালে লিখেছেন, 'জীবনের সবচেয়ে জরুরি মানুষের কাছ পেয়েছি... থ্যাঙ্ক ইউ।'
সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছে। সেখানে তিনি জানান, একাধিক সম্পর্ক ভাঙলেও এখনও ভালবাসার ওপর আস্থা হারাননি তিনি। নায়িকার কথায়, 'আমি এমন মানসিক অবস্থাতেই নেই যে প্রেম কিংবা বিয়ের কথা ভাবব। তবে আমি এখনও ভালবাসায় বিশ্বাস করি। আমার পরিবার, বিশেষত আমার বোন সেই আস্থাকে আঁকড়ে রাখতে সাহায্য করেছে'। স্বামী রোশন সিং প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নায়িকা জানিয়েছেন, তিনি এখন কারও কাছে ফিরে যেতে চাননা। কাজ ছাড়া কিছু নিয়েই চিন্তাভাবনা করছেন না। এই বিষয়টা আইনজীবীদের ওপর ছেড়েছেন।
গসিপ নিয়ে শ্রাবন্তীর সাফ জবাব, ‘আমি বিষয়টিকে স্রেফ ইগনোর করি। আমি এটুকু জানি আমি সফট টার্গেট। আর তাই মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলে। আমার জীবনের স্ট্রাগল তাঁরা বোঝে না। তাই আমি নিজের কাজ এবং জীবন চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়েছি। এই কিছুদিন আগে বোনের সঙ্গে এই নিয়ে রসিকতা করছিলাম। আগে পরিবারের লোকজনেরও খারাপ লাগত। কিন্তু এখন তাঁরাও বিষয়গুলো হেসে উড়িয়ে দেয়। আসলে দূরে বসে অনেক কিছু বলা যায়। আমার জায়গায় থাকলে বোঝা যাবে কতটা কঠিন সময় কাটিয়েছি’। বিষয়টাকে মজা করে গানের ছলে তিনি বলেন, 'কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কেহনা'।