scorecardresearch
 

Arjun Chakrabarty Exclusive: আমাদের প্রতিযোগিতা থাকলেও, বাঙালি বড় পর্দায় বাংলা ছবি দেখুক: অর্জুন

Arjun Chakrabarty Exclusive: 'গুপ্তধন' ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ছবি নিয়ে বড় পর্দায় ফিরলেন সোনা দা, আবির ও ঝিনুক। ছবি মুক্তি থেকে পুজোর প্ল্যান নিয়ে আজতক বাংলার সঙ্গে এক্সক্লুসিভ আড্ডা দিলেন পর্দার 'আবির'- অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। 

Advertisement
অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী

মহাপঞ্চমীর দিন মুক্তি পেল এসভিএফ (SVF)- প্রযোজিত ও ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন' (Karnasubarner Guptodhon)। 'গুপ্তধন' ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ছবি নিয়ে বড় পর্দায় ফিরলেন সোনা দা, আবির ও ঝিনুক। এই ছবিতেও মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী ও ইশা সাহা। এছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে সৌরভ দাসকে। ছবি মুক্তি থেকে পুজোর প্ল্যান নিয়ে আজতক বাংলার সঙ্গে এক্সক্লুসিভ আড্ডা দিলেন পর্দার 'আবির'- অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী (Arjun Chakrabarty)। 


আজতক বাংলা: 'গুপ্তধন' ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ছবি 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন'। এবার আলাদা কী চমক রয়েছে?

অর্জুন: ফর্মুলাটা কিন্তু একই থাকছে। অ্যাডভেঞ্চার, কমেডি, অ্যাকশন, খাওয়া-দাওয়া, আবির- ঝিনুকের রোম্যান্স এই সবই থাকছে। তবে এবার অ্যাডভেঞ্চারটা অনেক বড় মাপে। নতুন একটা জায়গায় যাচ্ছি আমরা। তাই সোনাদা- আবির-ঝিনুকের সঙ্গে দর্শকেরাও বেড়াতে যাচ্ছে এরকম মনে হবে। এটা পুজোতে সপরিবারে দেখার ছবি।  

 

Karnasubarner Guptodhon arjun chakraborty কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন

প্রশ্ন: আপনি নিজে কতটা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন? 

অর্জুন: বেড়াতে গিয়ে ওরকম বিপদের মুখে পড়লে কারও ভাল লাগবে না। তাই বেড়াতে যাওয়া প্ল্যান করেই হয়। অ্যাডভেঞ্চার বলতে আমি গাড়ি চালাতে খুব ভালোবাসি। সেক্ষেত্রে অনেক সময় দু:সাহসিক কিছু করি। ট্রেন বা ফ্লাইটে না গিয়ে যদি গাড়িতে যাওয়া যায়, এরকম প্ল্যান করি অনেক সময়। আমার অ্যাডভেঞ্চার বলতে ওই টুকুই। এর চেয়ে সাংঘাতিক কিছু করা হয়ে ওঠে না। 


প্রশ্ন: সোনা দা- আবির- ঝিনুকের আলাদা ফ্যানবেস রয়েছে। কতটা দায়িত্ববোধ রয়েছে বলে মনে হয় দর্শকদের জন্য? 

অর্জুন: দায়িত্ব অবশ্যই থাকে। তবে চিত্রনাট্য- সংলাপ এত ভাল লেখা, এতটা রিলেটেবল যে, নতুন করে নিজেদের আর চিত্রনাট্যর বাইরে গিয়ে সাংঘাতিক কিছু করতে হয় না। অবশ্যই অভিনয়ের করার সময় অনেক কিছু তাৎক্ষণিক পরিবর্তন হয়, তবে সোনা দা- আবির- ঝিনুক তিনজনের মতো সবার পরিবারে কিংবা আশাপাশে চেনাজানা মানুষ থাকে। বাঙালির সব সময় এরকম থ্রিলিং গল্প বা ভ্রমণ কাহিনী ভাল লেগেছে এর আগে। এই সব কিছুই এছবিতে রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে গুপ্তধনের সন্ধান। সেটা খুবই আকর্ষণীয় হবে বলে মনে হয়।  

Advertisement

 

Karnasubarner Guptodhon arjun chakraborty কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন

 
প্রশ্ন: এবারও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে গল্পে? 

অর্জুন: হ্যাঁ, প্রতিবারের মতো এবারও রয়েছে। এবার মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণের গল্প পুরোটা। সেই লোকেশনে শ্যুটিংও হয়েছে। এছাড়া পুরুলিয়া, মালদাতেও শ্যুটিং হয়েছে। এবার রাজা শশাঙ্কের সময়কালের গুপ্তধনের গল্প দেখানো হবে।  

 

Karnasubarner Guptodhon arjun chakraborty কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন

 

প্রশ্ন: পঞ্চমীর দিনই মুক্তি পাচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি ছবি। প্রতিযোগিতা কি একটু বেশি কঠিন এবার? 

অর্জুন: প্রতিযোগিতা সব সময়ই থাকে! তবে আমরা সব সময় চাই, বাঙালি বড় পর্দায় গিয়ে বাংলা ছবি দেখুক। একই সময় রিলিজ করলেও, পুজোয় একটা লম্বা ছুটি। তাই আমি চাইব, মানুষ সব কটা ছবিই দেখুক। তবে যেহেতু আমি এই ছবিতে কাজ করেছি, তাই 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন' নিয়ে আমার কিছুটা পক্ষপাত থাকবেই। তাই আমি চাইব এই ছবিটা সবার আগে দেখুক সকলে। তবে সব মিলিয়ে বাংলা ছবি, বড় পর্দায় ভাল করে চলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। 


প্রশ্ন: আবির চট্টোপাধ্যায় থাকা মানেই ফ্লোরে প্রচুর মজা হয়। আপনাদের শ্যুটিংয়ের ক্ষেত্রেও কি তাই?  

অর্জুন: আমরা প্রত্যেকবারই মজা করি। 'লেগ পুলিং' সারাক্ষণ চলতে থাকে। আমাদের রসায়নটাই আসলে এরকম। সেটা প্রথম ছবি থেকেই। আমরা খুব ভাল বন্ধু। আবিরদা বরাবর বড়দার মতো। ক্যামেরার পিছনেও নানা উপদেশ, পরামর্শ দিয়েই থাকেন। আমাকে ও ইশাকে খুবই গাইড করেন। আর এটাই পর্দায় প্রতিফলিত হয়।  

 

Karnasubarner Guptodhon arjun chakraborty কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন


প্রশ্ন: ছবিতে অনেকটা অ্যাকশন রয়েছে। আলাদা কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়েছে, শ্যুটিং শুরুর আগে? 

অর্জুন: ফিটনেসের নেশা এমনিতেই আমার আছে। ওটা খুব সুবিধে হয় অ্যাকশন ছবি শ্যুট করতে গেলে। আর 'গুপ্তধন' সিরিজের জঁনর যেহেতু অ্যাকশন - অ্যাডভেঞ্চার, দৌড়াদৌড়ি, এই পাহাড়ের সাইড দিয়ে পরে যাচ্ছি, খাদে পড়ে যাচ্ছি এসব তো করতেই হয়। অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে শ্যুট করলেও, একটা রিস্ক থেকেই যায়। তাই বডি ফিটনেস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনিতেই অভিনয়ের করার জন্য সাধারণ ফিটনেস খুব জরুরি। এই ধরণের ছবির ক্ষেত্রে তা আরও বেশি প্রয়োজন।     

Karnasubarner Guptodhon arjun chakraborty কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন


প্রশ্ন: এই ছবির কোন ঘটনা অর্জুন চক্রবর্তীর মনে থেকে যাবে?  

অর্জুন: এই টিমের সঙ্গে কাজ করাটা সব সময় স্মরণীয়। আমাদের প্রত্যেকটা ছবির আউটডোরের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা খুবই ভাল। প্রথম ছবিতে বোলপুরে কাজ হয়েছে, দ্বিতীয় ছবিতে ঝাড়গ্রামে কাজ হয়েছে। এবার পুরুলিয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদে হয়েছে... তবে আগের দুটো ছবির শ্যুট শীতকালে হয়েছিল। আর এটা একেবারে গরমে করার ফলে কষ্টটা খুব বেশি হয়েছে। পুরুলিয়ার ওই ৪৫ ডিগ্রি গরমে এরকম একটা অ্যাকশন - অ্যাডভেঞ্চার ছবির কাজ করা খুব কঠিন। অসম্ভব খাটনির কাজ ছিল। ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা করে কাজ হয়েছে। এটা অবশ্যই মনে থাকবে আমার। তবে শেষ পর্যন্ত পর্দায় কাজটা কতটা ভাল লাগছে সেটাই আসল। 

Advertisement


প্রশ্ন: পুজোর সময়ও কি প্রচার বা সিনেমা হল ভিসিট করবেন?  

অর্জুন: পুজোয় সাধারণত শ্যুটিং বা প্রোমোশন থাকে না। তবে সকলের প্রতিক্রিয়া নিতেই থাকব, সোশ্যাল মিডিয়াতেও চোখ থাকবে মানুষ কী বলছে তা জানতে।   

 

Karnasubarner Guptodhon arjun chakraborty কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন


প্রশ্ন: পুজোয় এবার কী প্ল্যান? 

অর্জুন: প্রতিবার কলকাতাতে থাকতেই পছন্দ করি পুজোয়। এবারও তাই। আমি পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে বসেই পুজোয় মজা করতে ভালোবাসি। মাঝে মধ্যে সাহস হলে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে থাকলে, গাড়ি নিয়ে একটু এদিক ওদিক ঘুড়ি। ছোট -খাটো বেরানো হলেও হতে পারে। এছাড়া আমাদের আবাসনে বড় পুজো হয়। সেখানে খুব ভাল সময় কেটে যায়। 


প্রশ্ন: ২০২২ -র পুজোয় সকলকে কোনও বার্তা দেবেন?  

অর্জুন: আগের দু'বছর যতটা ভয়ে কাটাতে হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হয়েছে, এবছর মানুষ যে ভিড় করছে সেটা দেখতে ভাল লাগছে। দায়িত্বশীলভাবে ও সাবধানে আনন্দ করুন এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। সেই সঙ্গে বলব, বাচ্চাদের ছবি খুব কম হয় আজকাল। তাই সপরিবারে 'কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন' দেখতে পারবেন। আর এটাই আসল গুপ্তধন আমাদের জন্য। 
 

 

Advertisement