বুধবার, উত্তীর্ণ মঞ্চে 'বাংলা সঙ্গীত মেলা ২০২০'-র শুভ উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুরের মেলার উদ্বোধনী মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানেই শুভ সূচনা হল এবছরের গান মেলার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সম্মান জানানো হল ২২ জন শিল্পীকে।
গানে গানে প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুভ উদ্বোধন হল মেলার। 'ও আকাশা সোনা সোনা' গান গাইলেন মঞ্চে উপস্থিত সঙ্গীতশিল্পীরা। সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়কেও স্মরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, বনশ্রী সেনগুপ্তর মত শিল্পীদের শ্রদ্ধা জানালেন। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় গান গাওয়ার কথাও বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালায় প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে এ বছর। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী।
২০২০-র শুরু থেকেই পাল্টে গিয়েছে সব কিছু। করোনাকালে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে বই পড়া, গান শোনা, আবার পুরনো গান ঝালিয়ে নতুন করে ভিডিও করা এমন নানান উপায় খুঁজে বার করে নিয়েছে নিজেরাই। শীত পড়তেই শহরে নতুন করে শুরু উৎসবের মরশুম। গান-নাটক, কবিতা, পিঠে-পুলির উৎসব এসব হবে তো? প্রশ্ন ছিল সকলের মনেই।
লকডাউন শেষ হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত বিভিন্ন মেলা। সুখবর এখানেই। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে চলছে প্রদর্শনী, 'বাংলা মোদের গর্ব'। তবে করোনার অতিমারীর পর এই প্রথম খোলা জায়গায় একাধিক শিল্পী একসঙ্গে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন বাংলা সঙ্গীত মেলায়। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষাবিধি মেনে সর্বসাধারণকে আহ্বান জানানো হয়েছে। স্যানিটাইজার, মাস্ক বাধ্যতামূলক মেলা প্রাঙ্গনে। ঠিক যেমনভাবে প্রেক্ষাগৃহে বসার ব্যবস্থা, তেমনভাবেই একটা সিট ছেড়ে বসার ব্যাবস্থা থাকবে সঙ্গীত মেলার বিভিন্ন ভেনুগুলিতে। কলকাতার শিল্পীরাতো থাকছেন, আসছেন বাউল শিল্পীরাও।
২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর, আট দিন ধরে চলবে মেলা। অন্যান্য বছরের মতই রবীন্দ্র সদন, শিশির মঞ্চ, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, মধুসূদন মঞ্চ, ফণিভূষণ বিদ্যাবিনোদ যাত্রা মঞ্চ, হেদুয়া, দেশপ্রিয় পার্ক, রাজ্য সঙ্গীত অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে সঙ্গীত মেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলায় অংশগ্রহণ করবেন পাঁচ হাজারেরও বেশি সংগীত শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা।