জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল গুলি শুট ফ্রম হোম হওয়ায় কাজ পাচ্ছেন না টেকনিশিয়ান এবং জুনিয়র আর্টিস্টরা। ফেডারেশনের আরও অভিযোগ, চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রযোজকরা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। বাড়ি থেকে শুট করার ফলে সিরিয়ালের মান অত্যন্ত খারাপ হচ্ছে বলেও উষ্মা প্রকাশ করেছেন ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস এন্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া-র সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। সোমবার এই মর্মে সাংবাদিক বৈঠক করে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে শুটিং সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানানো হল।
এদিন ফেডারেশনের অভিযোগের তির ছিল, 'কৃষ্ণকলি', 'তিতলি', 'অপরাজিতা অপু', 'গ্রামের রানী বিনাপাণি', 'বরণ', 'খেলাঘর', 'যমুনা ঢাকী', 'গঙ্গারাম', 'জীবন সাথী', 'মিঠাই', 'সাঁঝের বাতি', 'খড়কুটো', 'শ্রীময়ী', 'মোহর', 'দেশের মাটি', 'রিমলি', 'ওগো নিরুপমা', 'ফেলনা', 'কি করে বলব তোমায়', 'ধ্রুবতারা', এই ২০টি বাংলা ধারাবাহিকের প্রযোজকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এই ২০টি ধারাবাহিকের প্রযোজকরা লিস্টেড টেকনিশিয়ানদের বাদ দিয়েই শুট করছেন। শুট ফ্রম হোম বলে এমনকী সমুদ্রের ধারে, রিসর্টে, হোটেলে শ্যুট চলছে। ১০ বছরের কম বয়সি শিশুদের দিয়ে শুট করানো হচ্ছে। শারীরিক দূরত্বের বালাই নেই। যা কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় পক্ষই নিষেধ করেছে।
ফোডারেশনের প্রশ্ন ছিল:
এদিন ফেডারেশনের তরফে করা সাংবাদিক সম্মেলনে 'শ্যুট ফ্রম হোম'- নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ফেডারেশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, প্রযোজকদের উত্তরের জন্য তাঁরা ১৫ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। তা না হলে লকডাউন ওঠার পর এই ২০টি ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিধি নিষেধ শিথিল হলে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দ্রুত ফ্লোরে গিয়ে ধারাবাহিকের শ্যুটিং চালু করার অনুরোধ করা হয়েছে ফেডারেশনের তরফে।