scorecardresearch
 

Remembering Sandhya Mukherjee: ওঁর সঙ্গে ছবিতে গান গেয়েছি, আরও একবার যেন মাতৃবিয়োগ হল: সৈকত মিত্র

Saikat Mitra On Sandhya Mukherjee: প্রয়াত 'গীতশ্রী' সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সমগ্র শিল্পীমহলে।  

Advertisement
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও সৈকত মিত্র (ছবি: ফেসবুক) সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও সৈকত মিত্র (ছবি: ফেসবুক)
হাইলাইটস
  • প্রয়াত 'গীতশ্রী' সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
  • মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
  • তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সমগ্র শিল্পীমহলে।  

ফের নক্ষত্রপতন বিনোদন জগতে। প্রয়াত 'গীতশ্রী' সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee Passes Away)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী। এদিন অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হওয়ার জেরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। সঙ্কটজনক শিল্পীকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউতে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সমগ্র শিল্পীমহলে।  

'ঋণমুক্তি' ছবির 'এই ছোট্ট নদীটা' গানটি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী সৈকত মিত্র (Saikat Mitra)। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে অত্যন্ত মর্মাহত সৈকত বললেন,  "সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় শুধু একজন শিল্পী ছিলেন না, তিনি ছিলেন গত শতাব্দীর সেরাদের মধ্যে অন্যতম। আমরা তাঁকে কতটা সম্মান দিতে পেরেছি জানি না। তবে ওঁর থেকে আমাদের মতো পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীরা যে স্নেহ, ভালোবাসা পেয়েছি, তা অন্য কারও থেকে পাইনি। এখানেই  সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় অন্য সবার উপরে।"  

আরও পড়ুন:  সন্ধ্যাদি ফোন করে গান শোনাতেন, জিজ্ঞেস করতেন বেসুরো হয়নি তো: হৈমন্তী শুক্লা

তিনি আরও বলেন, "যখনই প্রয়োজন হত ফোন করে পরামর্শ নিতাম। ওঁর মধ্যে মাতৃসম এমন একটা প্রকৃতি ছিল, যেটা এরিয়ে যাওয়া কারও পক্ষে সম্ভব ছিল না। এই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছে, আরও একবার মাতৃবিয়োগ হয়েছে। ছোটবেলা থেকে তাঁকে দেখছি, আমায় ডাকনামেই ডাকতেন। এছাড়াও তাঁর বাড়িতে যাওয়া, তাঁর কাছে গান শেখা... বহু স্মৃতি মনে পড়ছে। আমার মনে হয় আজকের যুগে যারা গান করছেন, তাঁরা যদি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ১০ শতাংশেরও কাছাকাছি হয়, তাহলে সঙ্গীত সমাজ অনেক সমৃদ্ধ হবে। কারণ এই রকম উচ্চ পর্যায়ের এক সঙ্গীতশিল্পী হয়েও এত সরল জীবনযাত্রা খুব কম দেখা যায়। সব সময়ই তিনি নিজেকে গুটিয়েই রেখেছিলেন।" 

Advertisement

আরও পড়ুন:  'দিদির মতো ছিলেন, ব্য়ক্তিগত ক্ষতি,' সন্ধ্যার স্মৃতিচারণায় মমতা

সৈকত মিত্রর কথায়, "আমার সৌভাগ্য হয়েছে ওঁর সঙ্গে একটা ছবিতে ডুয়েট গান করার। উনি আমায় ফোন করে বলেছিলেন, 'হ্যাঁ রে শুনলাম তুই আমার সঙ্গে গান গাইছিস। আমি কি পারব তোর সঙ্গে গাইতে?' এই সমস্ত কথা এখন মনে পড়ছে..."  

 প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের পদ্মশ্রী পুরস্কার সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। ৯০ বছর বয়সে পদ্ম সম্মান পাওয়ার কথা শুনে কিছুটা মর্মাহত হন নবতীপর শিল্পী। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ফোন করে বলা হয়, আপনি কি পদ্মশ্রী সম্মান নেবেন? এমন 'ব্যবহার' পছন্দ হয়নি তাঁর। তিনি জানান, ৯০ বছর বয়সে পদ্মশ্রী নিতে হবে? ফোন করলেই চলে যাব! শিল্পীদের মান-সম্মান নেই নাকি। 

আরও পড়ুন:  "লতাজি ঈশ্বরী ছিলেন, সরস্বতীই ওঁকে নিয়ে চলে গেলেন"... সুর সম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার সঙ্গীতশিল্পীরা

১৯৭০ সালে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১১ সালে 'বঙ্গবিভূষণ', ২০১২ সালে 'সঙ্গীত মহাসম্মান' ও ২০১৫ সালে 'ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি বিশেষ সঙ্গীতসম্মান' প্রদান করে। এছাড়া তিনি ভারত নির্মাণ অ্যাওয়ার্ড, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ড সহ বহু সম্মানে ভূষিত হন। তিনি আমৃত্যু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত একাদেমীর সভাপতিও ছিলেন।

Advertisement