বাংলা সিনেমায় তিনি ৩৫ বছর ধরে রাজত্ব করছেন। তাঁর মত সুবিশাল সাম্রাজ্যে বিস্তার, সর্বোপরি এত বছর ধরে আর কেউ করেননি। সেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে জল্পনা কম হয়নি ইন্ডাস্ট্রিতে। এক বছরে তাঁর কোনও ছবি বড়পর্দায় দেখা না গেলে রব উঠেছে 'হারিয়ে যাওয়ার'। কিন্তু তিনি টলিউডের মেগাস্টার। আধিপত্যের জায়গা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আরও পোক্ত হয়েছে। তবু বিতর্ক তো থাকছেই। বাংলা সিনেমাহল থেকে সাম্প্রতিক সময়ের ওটিটি, নিজের প্রসঙ্গ টেনেই ইন্ডিয়া টুডে ইস্ট কনক্লেভ ২০২১-এ সেই আবহ আনলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
বাংলা ছবির তিনি সেই সময়ের নায়ক যখন বাংলা ছবি ও সিনেমাহল থেকে সকলে মুখ ফিরিয়ে নিত। সেই সময় প্রসেনজিৎ অভিনীত 'অমর সঙ্গী' যেন এক লহমায় ফিরিয়ে দিয়েছেন সিলভার স্ক্রিনের গোল্ডেন সময়। সিঙ্গল স্ক্রিন থেকে মাল্টিপ্লেক্স হয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, ৩৫ বছরে সাক্ষী থেকেছেন সবকিছুর। কিন্তু এবার কী সিনেমাহলের শেষসময়? প্রসেনজিৎ জানালেন, "না, আমি এটার সঙ্গে সম্পূর্ণ অর্থে সহমত নই। গত ৩৫ বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০ বছর অন্তর অন্তর শুনতাম প্রসেনজিত আর কতদিন? এবার অন্য কেউ আসুক।"
কিন্তু কথাতেই আছে, 'শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে'! টলিউডের মেগাস্টারের গলাতেও সেই বাচনভঙ্গি। তিনি বলেন, "এত কিছু শোনার পরও দর্শকই ঠিক করেছে কে থাকবে আর কে চলে যাবে। এটি সিনেমাহলের ক্ষেত্রেও হয়েছে। যখন টেলিভিশন এসেছে, হোম থিয়েটার এসেছে তখন সিনেমা হলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওটিটি আসার পরও এমনটা হয়েছে। কিন্তু সিনেমা হল হল মন্দিরের মত ওখানে যেতেই হবে। এখন সিনেমাহল, টেলিভিশন, ওটিটির জন্য আলাদা আলাদা প্রজেক্ট আনা হয়। কিন্তু সিনেমা হল মুছে যেতে পারে না।"