একে ফেব্রুয়ারি, তার ওপর আবার বসন্ত। ৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন হয় প্রেমের সপ্তাহ। এই সময় প্রেমিক -প্রেমিকাদের জন্য উৎসবের থেকে কম নয়। রেস্তরাঁ থেকে শপিং মল সেজে উঠেছে প্রেমের থিমে- লাল রঙা বেলুন, ফুল, হার্টে। সব মিলিয়ে শহর জুড়ে যেন প্রেমের জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন মানুষ। তবে টলিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের জন্য ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে একটু বাড়তি স্পেশাল। কারণ গত বছর এদিনই আইনীভাবে স্বামী- স্ত্রী হয়েছিলেন তাঁরা।
সই-সাবুদ করে বিয়ের এক বছর পার হল কাঞ্চন- শ্রীময়ীর। দু'জনে একগুচ্ছ ভাল মুহূর্তই শেয়ার করে সোশ্যাল পেজে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, "আমার ভালোবাসার কোনও বিশেষ দিন নেই, আমি প্রতিদিন প্রেমে পড়তে ভালোবাসি। আমি প্রতিদিন তোমার প্রেমে পড়ি মিঃ মল্লিক, কিন্তু কী করতে পারি বলো। আজ আমি আনুষ্ঠানিকভাবে, আইনগতভাবে, স্থায়ীভাবে তোমার ভ্যালেন্টাইন। তাই আমি বলছি হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে অফিসিয়ালি মাই লাভ...।"
শিরোনামে থাকেন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। সদ্য বাবা- মা হয়েছেন তারকা জুটি। গত ১ নভেম্বর জন্ম হয়েছে তাঁদের কন্যা সন্তান কৃষভির। পরিবারে ছোট্ট অতিথির আগমনে স্বাভাবিক ভাবেই মল্লিক ও চট্টরাজ পরিবারে খুশির পরিবেশ। নতুন বাবা- মাও দারুণ খুশি। কিছুদিন বিরতি নেওয়ার পরে, পার্টি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে যাচ্ছেন দুই- তারকা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে সই- সাবুদ করে বিয়ে করেন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই সকলে চমকে যান। এরপর গত ২ মার্চ পরিবার- পরিজনের উপস্থিতিতে সাত পাকে বাঁধা বলেন টলিপাড়ার চর্চিত 'লাভ বার্ডস'। বিয়ের পরে মালদ্বীপে গিয়েছিলেন নব দম্পতি। তবে সেটা হানিমুন নয়, তাঁদের বেবিমুন ছিল। একথা নিজেই জানান শ্রীময়ী।
কাঞ্চন মল্লিকের বয়স প্রায় ৫৪ বছর। অন্যদিকে এখনও ৩০-এর গণ্ডি পার করেননি শ্রীময়ী। খুব ছোট বয়স থেকেই অভিনয় জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী। 'বাবুসোনা' ধারাবাহিকের মাধ্যমে আলাপ তাঁদের। সেই সময় স্কুলে পড়তেন শ্রীময়ী। সেসময় কাঞ্চন টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। শ্রীময়ীর থেকে প্রায় ২৭ বছরের বড় কাঞ্চন। একে-অপরকে ১২ বছর ধরে চেনেন।