
বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনের উপর নির্ভরশীল প্রায় সকলে। এক মুহূর্তও ফোন নিজের থেকে দূরে করতে চান না। তবে আপনি কি জানেন, আপনার হাতের স্মার্টফোনটা আপনাকে ঠিক কতটা বিপদে ফেলতে পারে? কেড়ে নিতে পারে আপনার উপার্জিত সব টাকা -পয়সা? সাইবার ক্রিমিনালদের প্ররোচনায়, আপনার সঙ্গে যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে প্রতারণা। তাই এবার সাইবার ক্রাইম নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়তে এটিকেই নিজের ছবির বিষয়বস্তু হিসাবে বেছে নিয়েছেন নবীন পরিচালক দেবারতি ভৌমিক।
'কাঁটাতার'-র পরে থ্রিলার ঘরানার দেবারতির দ্বিতীয় ছবি 'নজরবন্দি'। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, মধুমিতা সরকার, অনিন্দিতা বসু, রাজনন্দিনী পাল ও সোহাগ সেন। ছবির মূল ইউএসপি হল, চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে শুধু মহিলাদের নিয়েই। আর তাই মহিলা চরিত্রের বিষয়টা মাথায় রেখে পরিচালক এই ছবিতে একজন পুরুষকেও দেখাবেন না। এখানে অপরাধী, অপরাধের শিকার হয়েছেন যিনি, এমনকী পুলিশ সকলেই মহিলা।
ঋতুপর্ণা এই ছবিতে চিত্রকর, মধুমিতা ও রাজনন্দিনী এখানে নেতিবাচক চরিত্রে এবং পুলিশের ভূমিকায় অনিন্দিতা বোস। সোহাগ সেনকে এই ছবিতে দেখা যাবে ঋতুপর্ণার মা রূপে। অপরাধীদের মূল ষড়যন্ত্র তাঁকে ঘিরেই হবে। তবে অপরাধীদের উদ্দেশ্য সফল হয় নাকি চিত্রকর সেখানে বাঁধ সাধবেন, সেটা দেখা যাবে ছবিতে।
ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন দেবারতি নিজেই। ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন রূপক চট্টোপাধ্যায় এবং মুম্বইয়ের এক প্রযোজনা সংস্থা। ছবিতে অ্যাকশন দৃশ্য, গান, সম্পর্কের টানাপোড়েনের পাশাপাশি, বিনোদনমূলক কমার্শিয়াল ছবির মশলা রয়েছে। বাংলা ছবিতে শুধুমাত্র মহিলা চরিত্র নিয়ে এরকম পূর্ণ দৈর্ঘ্যর ছবি আগে হয়নি, তাই এই ছবি দেখতে দর্শক যে আগ্রহী হবে এমনটাই মনে করছেন ছবির কুশিলবরা।
দেবারতি ভৌমিক জানালেন, 'নজরবন্দী' আদ্যপান্ত কমার্শিয়াল ছবি যার গল্প বলার জন্য আমি বেছে নিয়েছি মেয়েদের। প্রশ্ন উঠতে পারে শুধু মেয়েরাই কেন? কারণ ছবির দুর্দান্ত একশন দৃশ্য হোক বা সম্পর্কের টানাপোড়েন, সবেতেই যে মেয়েরা ফুল মার্কস পেতে পারে, এটা বোঝানোর দায় একজন মহিলা পরিচালকই তো নেবে।