সোজা কথা সোজা ভাবে বলতে ভালোবাসেন। বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রীলেখা মিত্রকে (Sreelekha Mitra) এমনভাবেই মানুষ চেনেন। এখন সোশাল মিডিয়ার দৌলতে অনকেই এ ব্যাপারে জানবেন। গত কাল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-র (Rituparna Sengupta) বিমান ধরতে না পারার বিষয়ে অনেকেই জানবেন। এ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করেন নায়িকা। তার কিছু ক্ষণ বাদেই শ্রীলেখার এক লাইনের একটি পোস্ট বলা যায় চর্চায় নতুন করে ইন্ধন জুগিয়েছে।
পোস্টে শ্রীলেখা লেখেন, 'ট্রেন হোক বা প্লেন, নিয়ম তো সবার জন্য এক মামা।' বোঝাই যাচ্ছে তিনি বিষয়টি জেনেই তবে এই পোস্ট করেন। তবে সংবাদমাধ্যমে শ্রীলেখা জানান, তিনি কাউকে উদ্দেশ্য করে এই পোস্ট করেননি। এ বিষয়ে তাঁর নিজের একটি পুরনো ঘটনা মনে পড়ে যায়। তিনিও নির্ধারিত সময়ের আগে বিমানবন্দরে পৌঁছে ভুল ফ্লোরে চলে যাওয়ায় বিমান ধরতে পারেননি। তাঁর নামও ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা শুনতে পাননি। কিন্তু একজন পরিচিত অভিনেত্রী হিসাবে সোশাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট করার কথা তাঁর মাথায় আসেনি। কারণ নিয়ম সকলের ক্ষেত্রেই এক।
তিনি আরও যোগ করেন, প্রত্যেকেই যার যার নিজের কাজে ব্যস্ত। সময় বাঁচানোর জন্যই বিমান ধরে গন্তব্য পৌঁছানোর চেষ্টা করেন সকলে। তার জন্য সঠিক সময়ে পৌঁছতে হয়। কারণ বিমান কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। এটাই নিয়ম। এবং এটা সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
প্রসঙ্গত, ঋতুপর্ণার পোস্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে শুটিংয়ের কাজে আমদাবাদ যাচ্ছিলেন তিনি। ভোর ৫.৪০ মিনিটের ফ্লাইট ছিল। ৪.৫৫ মিনিটে বিমানে ওঠার শেষ সময় ছিল। ঋতুপর্ণা পৌঁছান ৫.১০ মিনিট নাগাদ। সে সময়ও বিমান রানওয়েতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু যেহেতু বোর্ডিংয়ের সময় পেরিয়ে গিয়েছে তাই গেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং সোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করেন। সেখানে যাবতীয় স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন তিনি। তবে সেই পোস্টে নানা মন্তব্য এসেছে। কয়েক জন লিখেছেন, বোর্ডিংয়ের সময় পেরিয়ে গেলে যত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিই হোন, গেট খোলার নিয়ম নেই। ফলে বিমানসংস্থা ঠিক কাজই করেছে। নিয়ম সবার জন্য এক হওয়া উচিত। অভিনেত্রী বলে বিশেষ সুবিধা পাবেন এটাই বা কেমন কথা!