Coronavirus Effect on Work: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তছনছ করে দিয়েছে মানবসভ্যতাকে। এই কথা বললে ভুল বলা হবে না। অর্থনীতি থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য- সব জায়গায় প্রভাব পড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের। মানুষ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত গত প্রায় দু'বছর ধরে।
এক সমীক্ষায় তেমনই একটা ভয়ের ছবি উঠে এল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কর্মরত প্রতি তিনজন মানুষের একজনের ব্যক্তিগত জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে করোনার কারণে বেড়ে যাওয়া কাজের চাপে।
বাড়ি থেকে যারা কাজ করেন মানে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work from Home বা WFH) তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে বেশ প্রভাব পড়েছে।
যাঁরা আংশিক ভাবে বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন, করোনার আগের তুলনায় তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য ৫৪ শতাংশ থেকে খারাপ হয়ে ৩৪ শতাংশে নেমেছে।
ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্য পুরুষদের তুলনায় বেশি ভাল ছিল। করোনা সংক্রমণের সময় পুরুষ এবং মহিলা দু'জনের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়েছে।
সবাই সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। তবে তার মধ্যে ৩৮ শতাংশ মহিলা সন্তুষ্ট ছিলেন। অন্যদিকে পুরুষদের মধ্যে ৩৫ ভাগ ছিলেন সন্তুষ্ট।
একই ছবি শারীরিক সক্ষমতা বা ফিজিক্যাল ফিটনেসের ব্যাপারেও। ৪৯ শতাংশ মহিলার শারীরিক স্বাস্থ্য ভাল ছিল। অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে সেই শতাংশ ৪২।
এই সময়ে স্বাস্থ্যে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দিকে জোর দিয়েছেন মানুষ। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কাজে বা পরিসরে সময় কম দিতে পারছেন, এমন মানুষ ৪৫ শতাংশ এবং আর্থিক দিকে জোর দিয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৪৪ ভাগ।
বাড়িতে সময় দিতে পারছেন না সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন সকলে। সেখানে মহিলারা বেশি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছিলেন।
আইসিআইসিআই লোম্বার্ডের ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কর্মরত প্রতি তিনজন মানুষের মধ্যে একজন মানুষের ব্যক্তিগত জীবন কাজের চাপের ফলে প্রভাবিত হয়েছে। দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, কলকাতায় এমন ছবি ধরা পড়েছে।
৮৯ শতাংশ কর্মী আশা করেছিলেন তাঁদের সংস্থা যাতে স্বাস্থ্য এবং শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দিক। তবে এখন যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার ফলে তাঁদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ এ ব্যাপারে সন্তুষ্ট।
কাজের পরিবেশের ধরন মিশ্র মানে হাইব্রিড ওয়ার্ক কালচার কম কর্মীই পছন্দ করেছেন। ৭০ শতাংশ কর্মী চেয়েছেন হয় নিয়মিত বাড়ি থেকে কাজ করতে বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work from Home বা WFH) করতে।
আইসিআইসিআই লোম্বার্ড জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের অন্যতম কর্তা সঞ্জয় দত্ত জানান, এখন পরিবেশ-পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। আর তাই এখন গ্রাহকেরা স্বাস্থ্য বিমাকে শুধু আর্থিক নিরাপত্তা হিসেবে দেখছেন না। এর সাহায্যে তাঁরা ভালভাবে এগোতে পারবেন, এমন মনে করছেন।