NOTIFICATIONS
5th Nov
পুজোর পর থেকেই রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। রবিবার তা ৯০০ গণ্ডি পার করেছে। বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও। দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে বাংলার রাজধানী কলকাতা। আর এই আবহেই রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধে একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণা করেছে নবান্ন। আজ সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার অর্থাৎ পয়লা নভেম্বর থেকে সেই ছাড় পাচ্ছেন রাজ্যবাসী।
কোরনাকালে বন্ধ হয়েছিল লোকাল ট্রেন চলাচল। পরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে স্টাফ স্পেশাল চলাচলে ছাড় দেয় রাজ্য। চরম হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন নিত্যযাত্রীরা। তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত রবিবার থেকে রাজ্যে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
রেলের কর্মী, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী-সহ একাংশের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেন চালানো হচ্ছিল। তবে রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর আম জনতার জন্য লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে।
রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ায় আবার রবিবার থেকে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। তবে আমজনতার কাছে আর্জি জানান হয়েছে, সরকারের নির্দেশ মতো সব লোকাল ট্রেন চালু হলেও জরুরি কারণ ছাড়া যেন সাধারণ মানুষ ট্রেনে না ওঠেন।
তবে কেবল রেল নয়, পয়লা নভেম্বর থেকে রাজ্যে করোনা বিধি-নিষেধে একগুচ্ছ ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেইমত আজ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে এই ছাড়গুলি মিলবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।
জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি অফিস ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা থাকবে আজ থেকে । জরুরি পরিষেবা ছাড়া অন্যান্য সরকারি অফিস চলতে পারবে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে।
স্বাভাবিক সময় মেনে সিনেমা হল, থিয়েটার, সদন, মঞ্চ, অডিটোরিয়াম, স্টেডিয়াম, শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স, রেস্তোরাঁ, স্পা, জিম খোলা রাখা যাবে। সর্বাধিক ৭০ শতাংশ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে রাত ১১ টার পর খুলে রাখা যাবে না।
কালীপুজো ও দীপাবলির জন্য শিথিল করা হচ্ছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ। ছটপুজোর সময়ও রাত্রিকালীন বিধিনিষেধের নিয়ম কার্যকর হবে না। তবে এমনিতে রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
স্বাভাবিক সময় মেনে রেস্তোরাঁ এবং পানশালা খুলে রাখা যাবে। তবে রাত ১১ টার পর খুলে রাখা যাবে না।
যতটা ধারণ ক্ষমতা, তার ৭০ শতাংশ মানুষ নিয়ে সিনেমা-সিরিয়াল ইন্ডোরে শুটিং করা যাবে। করা যাবে অডিয়ো রেকর্ডিং। সকল ইন্ডোর কাজের ক্ষেত্রেই সেই নিয়ম প্রয়োজ্য হবে।
সিনেমার শুটিং, টিভির অনুষ্ঠানের শুটিং-সহ আউটডোর কাজও করা যাবে। তবে মেনে চলতে করোনা বিধি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পাশাপাশি স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থাও থাকতে হবে।
করোনাকালে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকেই খুলে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ এড়াতে একাধিক ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের। স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পডুয়াদের ক্লাসের সময়সীমা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কম সংখ্যক ছাত্রছাত্রী নিয়ে ক্লাস চলার ক্ষেত্রেও সেকশন ভাগের নির্দেশ শিক্ষা দফতরের। বিস্তারিতভাবে এব্যাপারে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
