প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও দৈনিক আক্রান্তের হার। ঠিক যেমনটি প্রথম এবং দ্বিতীয় তরঙ্গে ঘটেছিল। তবে এবার দৈনিক আক্রান্তের হার আগের দুই ওয়েভের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে বেশ কয়েকটি সমীক্ষার রিপোর্টে।
কিন্তু প্রতিটি ওয়েভে সংক্রমণের মাত্রা শীর্ষে পৌঁছানোর পর ফের দৈনিক আক্রান্তের হার কমতে থাকে। এখন যে ভাবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে তাতে বিশেষজ্ঞরা কোভিডের থার্ড ওয়েভেরই ইঙ্গিত দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় থার্ড ওয়েভ যদি আসে, তাহলে কবে সেটি তার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছাবে?
ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন এবং AIIMS-এর কমিউনিটি মেডিসিনের সভাপতি ডাঃ সঞ্জয় রায়ের মতে, আমরা যাই করি না কেন, কোভিডের সংক্রমণ এখনই রুখে দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি জানান যে, বিশ্বের কোনও দেশেই করোনার সংক্রমণ থামাতে সক্ষম হয়নি।
তাঁর মতে, লকডাউন বা নাইট কারফিউ জারি করার পাশাপাশি কোভিড স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ ভাবে মেনে করোনার সংক্রমণের গতি নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে, তবে একে একেবারে থামানো যাবে না।
ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (IHME)-এর ডিরেক্টর ডাঃ ক্রিস্টোফার মারে বলেছেন, 'ওমিক্রনের ওয়েভ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশই এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, ওমিক্রনের ওয়েভ তার শীর্ষস্তরে পৌঁছানোর পর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে।
IHME-এর ডিরেক্টর জানান, গত বছরের এপ্রিলে ডেল্টার প্রভাবে যে পরিমাণ সংক্রমণ বেড়েছিল, এবার তার তুলনায় অনেক বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হবেন। তবে ওমিক্রন ডেল্টার তুলনায় কম বিপজ্জনক।
ডাঃ ক্রিস্টোফার মারে বলেন, আমাদের কাছে বর্তমানে বেশ কয়েকটি মডেল রয়েছে যা আমরা পরে প্রকাশ করব। তবে ওমিক্রনের ওয়েভ তার শীর্ষে পৌঁছানোর পরে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। আগামী মাসেই ওমিক্রন ওয়েভ তার শীর্ষস্তরে পৌঁছাতে পারে।
ডাঃ মারে বলেছেন, 'আমরা আশা করি যে ৮৫.২ শতাংশ সংক্রামিত মানুষের শরীরে করোনার কোনও লক্ষণই থাকবে না। এই লোকেরা উপসর্গবিহীন হবে। তবে এগুলোর মধ্যেও হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা থাকবে তবে তা কম হবে। ভারতে, ডেল্টা তরঙ্গের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তির সর্বোচ্চ মাত্র এক চতুর্থাংশ হবে এবং মৃতের সংখ্যাও অনেকটাই কমবে।