করোনার থার্ড ওয়েভে হু হু করে বাড়ছে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ (Maria Van Kerkhove) ওমিক্রন সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, কোভিডের এই ভেরিয়েন্টটির (Omicron) শরীরের অনাক্রম্যতাকে (ইমিউন সিস্টেম) এড়ানোর বা ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে। ফলে, মানুষের একাধিকবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া, যাঁদের করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁরাও ওমিক্রন দ্বারা সংক্রমিত হতে পারেন।
কিন্তু ওমিক্রনের সংক্রমণে কি মৃত্যু হতে পারে? করোনার থার্ড ওয়েভে কাদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি?
দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। দিল্লি সরকারের থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিগত ৫ দিনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে যাঁদের মধ্যে ৩৪ জন আগে থেকেই নানা কঠিন রোগে ভুগে অসুস্থ ছিলেন।
এই হিসাব ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লি সরকারের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এই হিসাব থেকে একটা বিষয় খুব স্পষ্ট যে, শেষ ৫ দিনে দিল্লিতে করোনায় মৃতদের ৭৪ শতাংশই অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
দিল্লিতে করোনায় মৃত ৪৬ জন রোগীর মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ১৮ জন মহিলা। সরকারি তথ্য অনুসারে, অন্যান্য গুরুতর রোগ ও অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২১ জন রোগী পরে করোনায় আক্রান্ত হন এবং মারা যান।
দেশের রাজধানী শহরে করোনায় মৃত ৪৬ জন রোগীর মধ্যে ৩২ জনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। কারণ, অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতার সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তাঁদের স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটে এবং পরে তাঁদের মৃত্যু হয়।
দিল্লি সরকারের থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিগত ৫ দিনে যে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১১ জন টিকার দু’টি ডোজই নিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। দেশের রাজধানী শহরে করোনায় মৃত ৪৬ জন রোগীর মধ্যে ১৪ জনের বয়স ছিল ৪১ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে পাঁচ জনের বয়স ছিল ২১ বছর থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
সরকারি তথ্য অনুসারে, দিল্লিতে করোনায় মৃত ৪৬ জন রোগীর মধ্যে ১২ জন হাসপাতালে ভর্তির এক দিনের মধ্যেই মারা যান। এদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দু’দিনের মধ্যেই। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে মৃত্যু হয় ১৪ জন রোগীর।